ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১
নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে 

ঢাকা: পঁয়ত্রিশটি ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়ে নারীদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।  

তিনি বলেন, নারীরা দক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে।

তারা সমান যোগ্যতা নিয়ে পুরুষের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ের আড়াই লাখ নারীকে ক্যাটারিং, হাউজকিপিং, বেবি কেয়ার ও বিউটিফিকেশনসহ ৭টি ট্রেডে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ক্ষমতায়ন করা হবে।  

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সম্মেলনকক্ষে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, সোমবার মন্ত্রিসভায় ডে-কেয়ার আইন, ২০২১ এর নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। ডে-কেয়ার আইন বাস্তবায়নের ফলে কর্মজীবী মায়েরা সন্তানদের নিরাপদে রেখে নিশ্চিন্তে কর্মস্থলে যেতে পারবে। এর ফলে কর্মস্থলে নারীর অংশগ্রহণ বাড়বে। যা জাতিসংঘের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা ২০৪১ সালের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ৫০:৫০ অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রতিদিন সারাদেশে লাইন ধরে মানুষ করোনার ভ্যাকসিন নিচ্ছে উল্লেখ করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে করোনা আক্রান্তের হার ও মৃত্যুহার কম। উন্নত দেশগুলো চেষ্টা করেও যেখানে ভ্যাকসিন পাচ্ছে না সেখানে কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পৌঁছেছে। একটি দল নির্বাচনে পরাজিত হয়ে সংগঠনে ব্যর্থ হয়ে জনসমর্থন হারিয়ে এবং জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভ্যাকসিন সম্পর্কে নানা ধরনের কটূক্তি ও গুজব ছড়াচ্ছে। কিন্তু এদেশের জনগণ কখনোই সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার বলেন, সমতার জায়গায় পৌঁছাতে গেলে নারীর ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নারীদের কাজে লাগাতে না পারলে উন্নয়ন থেমে যাবে।  

‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সম্মাননা অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. হুমায়ুন কবীর ও রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল ওয়াব ভূইয়া সভাপতিত্ব করেন।  

দুই বিভাগের ১০ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী, শিক্ষা ও চাকরিক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী, সফল জননী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা ক্যাটাগরিতে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদ ও পুরস্কারের নগদ অর্থ দেওয়া হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।