ঢাকা: নেতাজি ও বঙ্গবন্ধুর প্রধান রাজনৈতিক দর্শনই ছিল ধর্মনিরপেক্ষ মানবতার দর্শন বলে উল্লেখ করেছেন বক্তারা।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ওয়েবিনারে স্মারক বক্তব্যে বক্তারা এ কথা উল্লেখ করেন।
ওয়েবিনারের মাধ্যমে স্মারক বক্তব্যে আজকের বিষয় ছিল ‘নেতাজি ও বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষ মানবতার দর্শন। ’
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওয়েবিনারে স্মারক বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম।
ওয়েবিনারে আরও অংশগ্রহণ করেন নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজ গবেষক ও শ্রী শিক্ষায়তন কলেজের সাবেক অধ্যাপিকা মৈত্রেয়ী সেনগুপ্ত, নির্মূল কমিটি নরওয়ে শাখার সভাপতি লেখক খোরশেদ আহমদ, নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, নির্মূল কমিটি আইটি সেলের সভাপতি শহীদ সন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, নির্মূল কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক শহীদ সন্তান ডা. নুজহাত চৌধুরী শম্পা, নির্মূল কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান প্রমুখ।
ওয়েবিনারে স্মারক বক্তব্যে অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান দুই নেতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে এক প্রজন্মের ব্যবধান থাকলেও তাদের রাজনৈতিক চিন্তায় “ধর্মনিরপেক্ষ মানবতার দর্শন”ই ছিল প্রধান নিয়ামক।
‘স্কুলজীবন থেকেই তারা উভয়ে ছিলেন প্রতিবাদী এবং আর্ত-দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতি সহানুভূতিশীল, দরদী হৃদয়ের অধিকারী। তারা দুজনেই শৈশব থেকেই উদার, অসাম্প্রদায়িক পরিবেশে বেড়ে উঠেছিলেন। যা তাদের পরবর্তী রাজনৈতিক জীবনে স্থায়ী প্রভাব রেখে যায়।
তিনি বলেন, নেতাজি জনগণের মধ্যে সত্যিকারের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা দূর করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনের মূলমন্ত্র ছিল অসাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ। তিনি ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার কল্যাণে রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন।
ওয়েবিনারে বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রেখে ধর্মনিরপেক্ষ মানবিক বাংলাদেশ গড়তে হলে জঙ্গি মৌলবাদের মূল উৎপাটন করতে হলে ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। ১৯৭২-এর সংবিধানের মূলনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ওয়েবিনার শেষে অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা সাইফ উদ্দিন রুবেল নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র “নাইবা হলো পারে যাওয়া’ শীর্ষক চিত্রনাট্য প্রদর্শিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
আরকেআর/আরআইএস