বগুড়া: বগুড়ার গাবতলীর পোড়াদহ মেলা মাছের জন্য বিখ্যাত। ভোর থেকে দিনব্যাপী মেলার বেশিরভাগ জুড়ে স্থান পায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
সেই মাছকে প্রাধান্য দিয়েই তৈরি করা হয় বাহারি মিষ্টান্ন সামগ্রীও। নাম দেওয়া হয় ‘মাছ মিষ্টি’। বাতাসে ঘ্রাণ ছড়ায় এসব মিষ্টি। মাছের পাশাপাশি এসব মিষ্টান্ন সামগ্রী বেচাবিক্রিতেও বেশ সুনাম রয়েছে এ মেলার।
এ মেলায় নিমন্ত্রণে আসা জামাইরা শ্বশুর-শাশুড়ির কাছ থেকে সাধ্যানুযায়ী পেয়ে থাকেন মোটা অঙ্কের সেলামি। সঙ্গে যুক্ত হয় নিজের জমানো টাকা। এসব টাকায় চলে কেনাকাটার ধুম। তবে কেনাকাটার তালিকায় মাছের পর স্থান পায় রকমারি মিষ্টান্ন। এর মধ্যে শীর্ষে থাকে মাছের আদলে তৈরি করা ‘মাছ মিষ্টি’।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলায় আসা জামাই ও স্বজনদের সঙ্গে কথা হলে এসব জানা যায়।
মেলায় আসা জামাই আজাদ খান বাংলানিউজকে জানান, সাড়ে ৯ কেজি ওজনের একটি কাতল মাছ সাড়ে ৮ হাজার টাকায় কিনেছেন। পাশাপাশি মাছের সঙ্গে মিল রেখে পাঁচ কেজি ওজনের একটি ‘মাছ মিষ্টি’ কিনেছেন এক হাজার ৩শ টাকায়। মাছ ও মিষ্টি নিয়ে শ্বশুরালয়ে যাবেন তিনি। শ্বশুরবাড়িতে সেই মাছ রান্না হবে। মাছ ও মিষ্টিতে চলবে আনন্দ আর উল্লাস। যোগ করেন এই জামাই।
মিষ্টি দোকানি বগুড়ার শাজাহানপুর খোট্টাপাড়া এলাকা থেকে আসা আমিনুর, গাবতলী উপজেলার সোনাকানিয়া এলাকার আল-আমিন বাংলানিউজকে বলেন, এই ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার পর থেকেই তারা এ মেলায় আসেন। বাহারি ডিজাইনের মিষ্টান্ন আমদানি ঘটান। এবারও তার ব্যতিক্রম করেননি। বিপুল পরিমাণ মিষ্টান্ন নিয়ে তারা মেলায় এসেছেন। বেচাকেনাও বেশ ভালো।
ছোট-মাঝারি ও বড় আকারের মাছ মিষ্টি, লাভ মিষ্টি, কদম মিষ্টি, চমচম, হাসিখুশি, কালোজাম, স্পঞ্জ মিষ্টি, ছানার জিলাপি, জিলাপি, লাড্ডু, কদমাসহ নানা রকমের মিষ্টান্ন সামগ্রী রয়েছে মেলায় বসা দোকানগুলোতে। এর মধ্যে বড় আকারের মিষ্টি ২৫০ টাকা কেজি, মাঝারি আকারের সাদা ও কালো মিষ্টি ১৮০ টাকা কেজি, ছোট আকারের মিষ্টি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি, ছানার জিলাপি ২০০ টাকা কেজি, পাতা মিষ্টি ২২০ টাকা কেজি, কদমা ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
***পোড়াদহ মেলার আড়তে এক দিনেই বিক্রি ১৪ কোটি টাকার মাছ
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
কেইউএ/এএ