ঢাকা: আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করতে বঙ্গোপসাগরের তলদেশে ব্লক তৈরি করে বাড়ানো হচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে। শিগগিরই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চীনের ঢাংজিয়াং ইচাং ওয়াটারওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো ও চীনা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন কাজ শুরু করবে।
সূত্র জানায়, কক্সবাজার বিমানবন্দরের বর্তমান রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৯ হাজার ফুট। এতে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে আরও ১ হাজার ৭শ’ ফুট। সম্প্রসারিত হতে যাওয়া রানওয়ের ১ হাজার ৩শ’ ফুটই থাকবে সমুদ্রের ওপর।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সমুদ্রের তলদেশে ব্লক তৈরি করে এর ওপর স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। দেশে এ প্রথম কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে এ প্রক্রিয়ায়। কক্সবাজার বিমানবন্দরের মহেশখালী চ্যানেলের দিকে ল্যান্ড রেক্লেমেশন প্রক্রিয়ায় সম্প্রসারিত হবে এ রানওয়ে।
বেবিচক সূত্র বলছে, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্প যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে চীনের ঢাংজিয়াং ইচাং ওয়াটারওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো ও চীনা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরশন।
প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৭শ’ ফুট রানওয়ে সম্প্রসারণ করা হবে। পুরো প্রকল্পের অর্থায়ন করছে বেবিচক। এতে খরচ হবে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
বেবিচক কর্মকর্তারা বলছেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার প্রক্রিয়া হিসেবে এ সম্প্রসারণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। রানওয়ে সম্প্রসারণ হলে এ বিমানবন্দরে বোয়িং-৭৭৭ ও বোয়িং-৭৪৭ মডেলের সুপরিসর উড়োজাহাজ ওঠা-নামা করতে পারবে।
সূত্র জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সম্প্রতি চীনের ঢাংজিয়াং ইচাং ওয়াটারওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো ও চীনা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তি করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। বেবিচক সদরদপ্তরে ঢাংজিয়াং ইচাং ওয়াটারওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো ও চীনা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন জেভির প্রতিনিধি ইয়াং জিজুন এবং বেবিচক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান এ চুক্তিতে সই করেন।
গত ৬ জানুয়ারি প্রকল্পটি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
টিএম/এফএম