ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মা-ছেলেকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ সাবেরা সুলতানা খানম এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দির কালা মিয়ার স্ত্রী ঝরনা বেগম (৫৪) ও তার ছেলে সুমন (২৮)। তবে রায় ঘোষণার সময় সুমন উপস্থিত থাকলেও তার মা পলাতক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৮ নভেম্বর জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মরিচাকান্দিতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৪ এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৪০ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবাসহ ঝরনা বেগম ও তার ছেলে সুমনকে আটক করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরেক অভিযানে মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত দু’টি স্পিডবোট আটক করা হয়। এসময় পালিয়ে যান এ কাজে জড়িত ফরিদ মিয়া ও সবুজ মিয়া নামে দু’জন। পরে পলাতক দু’জন ও মা-ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় সবুজ মিয়ার সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাকে বাদ দিয়ে তিন আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এরই মধ্যে ঝরনা ও সুমন জামিনে বের হন। শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বুধবার রায় মা-ছেলেকে এ সাজা দেন আদালত। এসময় সুমন আদালতে উপস্থিত থাকলেও তার মা পলাতক। তবে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় ফরিদকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। পলাতক ঝরনা যেদিন গ্রেফতার হবেন বা আত্মসমর্পণ করবেন, সেদিন থেকে তার সাজা শুরু হবে।
এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি অ্যাডভোকেট শরীফ হোসেন বলেন, এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষ মনে করে রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
এসআই