ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পোড়াদহ মেলায় এবার ছোট পরিসরে বাঁশ-বেতের সামগ্রীর পসরা

কাওছার উল্লাহ আরিফ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
পোড়াদহ মেলায় এবার ছোট পরিসরে বাঁশ-বেতের সামগ্রীর পসরা মেলায় বাঁশ-বেতের সামগ্রীর পসরা। ছবি: বাংলানিউজ

বগুড়া: প্রতিবছর মাঘের মাসের শেষ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী মেলা ‘পোড়াদহ’। প্রায় চারশো বছরের গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ইছামতি নদীর তীরে পোড়াদহ এলাকায় এ মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।

 

বুধবার পোড়াদহ মেলাজুড়ে ছিল মানুষের ভিড়। বড়-বড় মাছ, মিষ্টিসহ নানান সামগ্রী নিয়ে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন দোকান। মেলা বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ। সেই ঐতিহ্য ধারণ করে এ এলাকায় সবাই মেতে ওঠেন বাঁধভাঙা উৎসব-উচ্ছ্বাসে। মেলা উপলক্ষে এই এলাকায় উৎসবের আমেজ থাকে সপ্তাহব্যাপী। নতুন জামাই-বউ ও স্বজনরা সবাই মিলে এ উৎসব করেন।

মেলার দক্ষিণ দিকটায় চোখে পরে গ্রামীণ ঐতিহ্যর বাঁশ ও বেতের তৈরি নানান সামগ্রীর পসরা। বাঁশ ও বেতের তৈরি ছোট বড় বিভিন্ন সাইজের কুলা, চাল মাপার কাটা, খৈচালনা, দাঁড়িপাল্লা, চালুন, মুড়ির চালনাসহ নানান সামগ্রী। তবে, এ বছর জায়গা স্বল্পতার কারণে বসতে পারেনি অনেকেই। সারিয়াকান্দি উপজেলার বাসুদেব বাংলানিউজকে জানান, প্রতি বছর ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলায় অনেক দূর থেকে আসেন তিনি। বাঁশ ও বেতের তৈরি গ্রামীণ সামগ্রী বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। এ মেলাতে বিক্রি ভালোই হয় বলেও মন্তব্য করেন কিনি।

তিনি বলেন, আধুনিক যুগে অনেক পরিবর্তন এসছে তবুও বাপ-দাদার শিখিয়ে যাওয়া এ সামগ্রী বানানো ও বিক্রিই তার পেশা। তবে এবার ব্যবসা করতে পারলেন না তারা। জায়গা স্বল্পতা ও রাস্তার সু-ব্যবস্থা না থাকায় তাদের অনেকেই মেলায় দোকান দিতে পারেনি। ক্রেতা মো. আব্বাস প্রাং, ছানাউল্লাহ ব্যাপারী বাংলানিউজকে বলেন, পোড়াদহ মেলা এ এলাকাসহ বগুড়ার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। বাঁশের কুলা, চাল মাপার কাটা, খৈ-চালনা বাঙ্গালরি ঐতিহ্য বহন করে। এ সামগ্রীগুলো সচরাচর চোখে পড়ে না তাই পোড়াদহ মেলা থেকে তারা এগুলো সংগ্রহ করেন। কিন্তু এ বছর বাঁশ-বেতের সামগ্রীর দোকান তেমন একটা বসেনি মেলা প্রাঙ্গণে। আর এতে করে তারা হতাশ।

বিক্রেতা বাসুদেবের কাছে দামের কথা জনতে চাইলে তিনি বলেন, বাঁশের ও বেতের তৈরি এসব সামগ্রীর মধ্যে বড় কুলা বিক্রি হচ্ছে ৬০-১শ টাকা, মাঝারি কুলা ৫০-৬০ টাকা, খৈ-চালনা ১৩০-১৭০ টাকা, দাঁড়িপাল্লা ৬০০-৮০০ টাকা, চাল মাপার কাটা ১০০-১৭০ টাকা।

বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী ‘পোড়াদহ’ মেলায় বাঙালির হাজার বছরের গ্রামীণ ঐতিহ্যবহনকারী বাঁশ ও বেতের তৈরি এ সামগ্রীগুলোর কম-বেশি দেখা মিলে প্রতি বছরই।

আরও পড়ুন>>>পোড়াদহ মেলায় ছেলে-বুড়োর দৃষ্টি কাড়ে ‘হোন্ডা খেলা’ (ভিডিও)
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।