ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নীলফামারীতে ধর্ষণ মামলায় শিক্ষকের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
নীলফামারীতে ধর্ষণ মামলায় শিক্ষকের যাবজ্জীবন

নীলফামারী: নীলফামারীতে ধর্ষণের দায়ে ওয়াজেদ আলী টুকু নামে এক প্রাইভেট শিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয়মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১।  

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ আদেশ দেন।

এ মামলার আসামি অপর দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেওয়া হয় বাহাদুর এবং ওহাবকে।  

দণ্ডিত ওয়াজেদ সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের পূর্ব বেলপুকুর দেড়আনি এলাকার মৃত. খাতির আলী।  

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পূর্ব বেলপুকুর এলাকার জালাল উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে তার মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী জিন্নাত আরা খাতুনকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে বিষয়টি প্রকাশ না করার হুমকি দেন প্রাইভেট শিক্ষক ওয়াজেদ আলী। পরবরর্তীকালে তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করলে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন জিন্নাত। এক পর্যায়ে বিয়ে ও সন্তানের স্বীকৃতি দিতে তালবাহানা করলে ওয়াজেদ, বাহাদুর এবং ওহাবকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন জিন্নাত।
 
মামলার তদন্ত শেষে সৈয়দপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজগর আলী আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিজ্ঞ আদালত আসামি ওয়াজেদ আলীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।  

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি রামেন্দ্র নাথ বর্ধণ বাপ্পী জানান, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি পলাতক ররেছেন। তার অনুপস্থিতিতে আদালতের বিচারক রায় ঘোষণা করেন।  

তিনি জানান, অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দণ্ডিত আসামির দুই ভাই ওহাব ও বাহাদরুকে বেকসুর খালাস দেন বিজ্ঞ আদালত।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।