ভাসানচর (নোয়াখালী) থেকে ফিরে: কফি এখন কোনো বিলাসী পানীয় নয়। এক সময় শহরের মুষ্টিমেয় লোক কফি পানে অভ্যস্ত হলেও এখন সময় বদলেছে।
ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাজারে দেখা যায়, রোহিঙ্গারা বিকেল-সন্ধ্যায় কফি পান করছেন। গল্প করছেন। কেউ কেউ চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে সিগারেটও ফুকছেন। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের তেমন কোনো কাজ থাকে না। সে কারণে চা-কফি পানেই সময় কাটান তারা।
ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প বাজারের এক নম্বর রোডের সবচেয়ে বড় দোকান হেরা সুপার শপ। বিশাল এ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে নানা ধরনের পণ্য বিক্রি হয়। সেসব পণ্যের মধ্যে একটি হলো কফি। বিকেল থেকেই এ দোকানে কফি মেকারের কফি বিক্রি শুরু হয়। প্রতি কাপ কফির মূল্য ২৫ টাকা। আর সেই কফি পানের জন্য রীতিমতো লাইন দেন রোহিঙ্গারা।
৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে হেরা সুপার শপে গিয়ে দেখা যায়, রোহিঙ্গারা কফি পান করছেন। কফি কেনার জন্য দোকানে ভিড় লেগে রয়েছে। দোকানের কর্মী কফি সরবরাহ করে যেন কুলাতে পারছেন না। সে সময় কফিতে চুমুক দিচ্ছিলেন আব্দুস শুকুর নামে এক রোহিঙ্গা। কফি পান করতে কেমন লাগে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারা দিন কাজ কাম করার পর এটা (কফি) পান করতে খুব ভালো লাগে। ক্লান্তি কেটে যায়। সে কারণে কফি পান করি। আমার মতো অনেকেই কফি পান করেন।
দোকানের বিক্রয় কর্মী দিলীপ চন্দ্র দাশ বাংলানিউজকে বলেন, দিন দিন রোহিঙ্গাদের মধ্যে কফি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তারা এখন নিয়মিত কফি পান করে থাকেন। প্রতিদিন প্রায় ৮০ থেকে ১০০ কাপ কফি বিক্রি করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
টিআর/এসআই