ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মুন্সিগঞ্জে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা, অভিযুক্তরা অধরা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
মুন্সিগঞ্জে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা, অভিযুক্তরা অধরা  প্রতীকী ছবি

মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে দুই কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।  

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।

 

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে গজারিয়া থানায় এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের নতুন চরচাষী গ্রামে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।  

অভিযুক্তরা হলো- স্থানীয় পারভেজ হোসেনের ছেলে সালাউদ্দিন (১৬) ও লিটন মিয়ার ছেলে আকাশ (১৭)।  

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রইস উদ্দিন জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টার সময় এক কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবার রাতে মামলা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তদের তিন স্বজনকে থানায় ডাকা হয়েছে। তাদের থেকে তথ্য নিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।  

তিনি আরো জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন মাদ্রাসা ও আরেকজন স্কুলে পড়তো। তবে তারা এখন আর লেখাপড়া করে না। ভিকটিম দুই বছর আগে স্থানীয় এক স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়তো। এখন লেখাপড়া করছে না।  

জানা যায়, মেয়েটি বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলছিল, এসময় আকাশ ও পারভেজ মুখ চেপে ধরে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে পার্শ্ববর্তী সিদ্দিকুর রহমানের পরিত্যক্ত বসতভিটায় ধর্ষণ করে এবং ভিডিওচিত্র ধারণ করে। আত্মরক্ষার্থে চিৎকার দিলেও পার্শ্ববর্তী বিয়ে বাড়িতে উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বাজার কারণে সে শব্দ কেউ শুনতে পাননি। ধর্ষণ শেষে তাকে সেখানেই ফেলে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। জ্ঞান ফিরলে কোনোমতে বাড়ি পৌঁছায় মেয়েটি।

এদিকে এ ঘটনায় গুরুতর আহত ওই মেয়েটিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে বাধা দেয় ধর্ষক আকাশ ও সালাউদ্দিনসহ তাদের স্বজনরা। এসময় তাদের মারধরের শিকার হন ওই ছাত্রীর মা, বড় বোন ও দুলাভাই।

ছাত্রীর মা জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে ধর্ষক ও তাদের স্বজনরা হামলা চালান। পরে তার বড় মেয়ে ৯৯৯-এ ফোন দিলে গজারিয়া থানা পুলিশের একটি দল তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।