পাবনা: পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর ডোবা থেকে বেলাল হোসেন (১১) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বকুল শেখ (৪০) নামে এক জনকে আটকও করা হয়েছে।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের ভাড়ালা গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত উদ্ধার বেলাল সাঁথিয়ার আতাইকুলা থানার সাদুল্লাহপুর ইউনিয়নের চমরপুর গ্রামের ভ্যানচালক আফজাল হোসের ছেলে। সে শ্রীকোল ফুরকানিয়া মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। আর আটক বকুল একই গ্রামের মৃত আব্দুল হাই শেখের ছেলে।
পাবনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বাংলানিউজকে জানান, গত ০৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বেলাল শখের বসে চালানোর জন্য তার বাবার ভ্যান গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এর পর সে আর বাড়ি ফেরেনি। পরে সম্ভাব্য সব জায়গার খোঁজাখুঁজির পর বেলালকে না পেয়ে সেদিন সন্ধ্যায় আতাইকুলা থানায় নিখোঁজ বিষয়ে একটি লিখিত সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে পরিবারের সদস্যরা।
তিনি আরও জানান, জিডির পর পাবনা জেলা পুলিশ (এসপি) সুপারের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল বেলালের খোঁজে অভিযান চালায়। সন্ধেহজনক আচরণ ও চলাচলের কারণে দু’জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য মতে, প্রথম পর্যায়ে ওই ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়। পরে এই হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা বকুলকে নাটোরের গুরুদাশপুর এলাকা থেকে শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে আটক করা হয়। পরে হত্যাকারীর দেওয়া তথ্য মতে শনিবার দুপুরে ভাড়ালা গ্রামের মুজিব বাঁধের পাশের এক ডোবা থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আটক আসামি বকুলকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অর্থের লোভে তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। হত্যাকারীরা কৌশলে ভ্যানসহ বেলালকে নিয়ে আসে বাঁধ এলাকায়। পরে নির্জন মুজিবাঁধ এলাকায় নিয়ে এসে তাকে হত্যা করে। পরে ওই ভ্যানটি বিক্রি করে দেয় হাজির হাটে।
ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটির মরদেহ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি-না তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পাবনা আতাইকুলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের পক্রিয়া চলছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
এসআরএস