ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চিকিৎসককে মারধরের ভিডিও করায় বাংলানিউজের সোহাগের ওপর হামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
চিকিৎসককে মারধরের ভিডিও করায় বাংলানিউজের সোহাগের ওপর হামলা

পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে চিকিৎসকে মারধরের ভিডিও ধারণ করায় বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের পঞ্চগড় করেসপন্ডেন্ট সাংবাদিক সোহাগ হায়দারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।

শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলাধীন ভজনপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে তিনি পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  

এ ঘটনায় দৈনিক দেশের পত্র পত্রিকার সাংবাদিক মমতাজ আলীর ওপরও হামলা হয় এবং তাদের বাঁচাতে গিয়ে সাংবাদিক মমতাজের স্ত্রী আসমা বেগম হামলার শিকার হন।

 

ভজনপুর বাজারে অবস্থিত পঞ্চগড় ডেন্টাল কেয়ারের ডেন্টিস্ট রবিউল আলম বাবু বাংলানিউজকে বলেন, ৭-৮ মাস আগে হাসিবুল ইসলাম নামে এক মুদি ব্যবসায়ী দাঁতের স্কেলিং করেন। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে তিনি বলছেন তার স্কেলিং ভালো হয়নি। আমি তাকে পরামর্শ দিই রংপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য। তিনি উল্টো আমাকে হুমকি দেন। গত তিন দিন আগে মসজিদে নামাজের সময় আমাকে চড় থাপ্পড় দেন। দুপুরে চেম্বার খুলে নামাজে যাওয়ার সময় হাসিবুল ও তার বড় ছেলে ওলিউল্লাহ খান রনি, মেজো ছেলে  আল আমিন ও ছোট ছেলে মানিকসহ এবং তার দোকানের কর্মচারীসহ ৫-৬ জন মিলে আমাকে মারার জন্য ধাওয়া দেন। আমি প্রাণ ভয়ে দৌঁড়ে পাশের চায়ের দোকানে বসে থাকা সাংবাদিক মমতাজ আলীর কাছে আশ্রয় নিই। সেখানে সাংবাদিকের উপস্থিতিতে আমাকে মারধর শুরু করে। এসময় সাংবাদিকরা ভিডিও ধারণ করলে তার ফোন কেড়ে নিয়ে তাকেও মারধর শুরু করেন।

সাংবাদিক মমতাজ আলী জানান, ডেন্টিস্ট রবিউল আলম বাবুকে মারধর করলে তিনি ভয়ে আমার কাছে আশ্রয় নিলেও সন্ত্রসীরা ক্ষান্ত না হলেও আমি ভিডিও করতে থাকি। এসময় হাসিবুল ও তার ছেলে আমার মোবাইল কেড়ে নেয়। আমি দ্রুত সাংবাদিক সোহাগ হায়দারকে ফোন দিলে তিনি  ঘটনাস্থলে আসা মাত্রই তার ওপরও হামলা করে। একদিকে আমাকে মারধর করে অন্যদিকে সহকর্মী সোহাগকে মারধর করে।  

এ বিষয়ে সাংবাদিক সোহাগ হায়দার জানান, আমি ঘটনাস্থলে যাওয়া মাত্রই কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগে আমাকে মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে আমাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসা আসমা বেগম ওই সব সন্ত্রাসীর হাতে শ্লীলতাহানি ও হামলার শিকার হন। স্থানীয়রা দ্রুত পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারীরা সবাই পালিয়ে যায়।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সায়েম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠায়। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।