ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): পঞ্জিকার পাতা সংশোধনে বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস পালিত হচ্ছে একই দিনে। করোনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও বরাবরের মতো সর্বস্তরের মানুষ প্রিয়জনদের নিয়ে ঘুরতে এসেছে ক্যাম্পাসে।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, কার্জন, শহীদ মিনার এলাকা ঘুরে এসব দৃশ্য দেখা গেছে। বিভিন্ন বয়সী মানুষের আগমন ঘটলেও এবারের বসন্ত বা ভালোবাসা দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের থাকছে অন্য অভিজ্ঞতা। করোনার কারণে অনেকেই নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। এর কারণে ক্যাম্পাসে প্রিয়মুখদের নিয়ে উৎসব উদযাপন করতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি না পাওয়ায় এবার চারুকলার বকুলতলায় বসন্ত উদযাপনে কোনো আয়োজন ছিল না। আয়োজক কমিটি সীমিত পরিসরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সময়ের ব্যবধানে বেড়েছে উপস্থিতি।
বসন্তের ফুরফুরে হাওয়া হৃদয়ে জাগায় ভালোবাসার পরশ। অপরদিকে ভালোবাসা দিবস মানব মনকে করে তোলে আবেগী। কেউবা প্রিয়জনের হাতে গোলাপ কিংবা সামান্য উপহার দিয়ে জানান দেয় নিজ ভালোবাসার। ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা প্রেমিক যুগল মৌসুমী ও রাসেল বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের চার বছরের সম্পর্ক ছিল। করোনায় বিয়ে করেছি। এবার প্রথম অন্যভাবে বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস উদযাপন করছি।
দিবসকে ঘিরেই নিয়মিত ফুল বিক্রেতাদের পাশপাশি মৌসুমী হাকারেও নেমেছেন অনেকেই। হৃদয় সদৃশ সম্বলিত বেলুনও যুগলদের তুলে দিচ্ছেন তারা। তবে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকা আর সকালবেলা লোকজনের উপস্থিতি কম হওয়ার কারণে বিক্রি কম হচ্ছে জানালেন তারা। ফুল বিক্রেতা আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দুই দিবস একসঙ্গে হওয়ায় বিক্রি কম। তবে, বিকেলে বেশি বিক্রি করতে পারব। অপরদিকে শাহবাগের ফুল বিক্রেতারা শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিক্রি কম হয়েছে বলে জানালেও ভালোবাসা দিবসে ফুল বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছে তারা। একইসঙ্গে গোলাপের চাহিদা বেশি থাকায় দামও বেড়েছে।
নীল দৃষ্টি পুষ্পালয়ের বিক্রেতা মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে বলেন, বিক্রি তুলনামূলক ভালো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
এসকেবি/এএটি