পিরোজপুর: পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। টানা ৯ ঘণ্টা পিরোজপুরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার পর বিকেল থেকে বাস চলাচল শুরু হয়।
জানা যায়, বিআরটিসি বাসের স্টাফ ও কাউন্টারের লোকজন কর্তৃক সাধারণ পরিবহনের বাসের শ্রমিকদের মারধরের বিচারের এ ধর্মঘটের ডাক দেয় জেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে টানা ৯ ঘণ্টা এ ধর্মঘট চলে। বিষয়টি জেলার পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খানের নজরে এলে তিনি ধর্মঘটের আহ্বান করা শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
এ সময় তিনি সাধারণ বাস শ্রমিকদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও এমন ঘটনার বিচারের আশ্বাস দেন। পরে শ্রমিকরা তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন।
ওই দিন ওই ধর্মঘটে পিরোজপুরের সঙ্গে ঝালকাঠী, বরিশাল, খুলনা, বাগেরহাট, পাথরঘাটা, ভান্ডারিয়া, কাউখালী, মঠবাড়িয়া, নাজিরপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের ১০টি রুটে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
>>>পিরোজপুরে অর্নিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট
পিরোজপুর জেলা বাস ও মিনি বাস শ্রমিক ইউনিয়ন সমিতির সভাপতি হান্নান শেখ বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে চরখালী ফেরি থেকে বিআরটিসি বাস নিয়ম লঙ্ঘন করে কয়েকজন যাত্রীকে তাদের বাসে ওঠায়। এর প্রতিবাদ করেন আমাদের বাসের সুপারভাইজার রাজীব হোসেন। এর জেরে বিআরটিসি বাসের চালক প্রসেঞ্জিত, বিআরটিসির স্থানীয় কাউন্টারের লোক তারেকসহ কয়েকজন ওই সুপারভাইজারকে মারধর করেন। এ ঘটনার বিচার দাবিতে ও নিয়ম-নীতি অনুযায়ী বিআরটিসি বাস চালানোর দাবিতে জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য এ বাস ধর্মঘট আহ্বাবান করা হয়। দুপুরে পিরোজপুরে পুলিশ সুপার এমন হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচারের ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করায় আবারো বাস চলাচল শুরু করেছি।
এ বিষয়ে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে জানান, সাধারণ মানুষের কোনো কষ্ট হয় এমন কোনো কার্যক্রম হওয়া উচিত নয়। এ হামলার ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
এনটি