ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘সিন্ডিকেট’ তৈরির আগেই প্রতিকার চায় রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
‘সিন্ডিকেট’ তৈরির আগেই প্রতিকার চায় রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা সংবাদ সম্মেলন, ছবি: শাকিল

ঢাকা: মাত্র ২৫-৩০ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে আবারও সিন্ডিকেটের সম্ভাবনা দেখছে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা। তাদের দাবি, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে সিন্ডিকেট বাদ দিয়ে সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে।

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে বায়রা সিন্ডিকেট নির্মূল ঐক্যজোট আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্ভাব্য জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিংয়ের এজেন্ডায় রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যার কথা থাকায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, সরকারের প্রতিশ্রুত স্বল্প খরচে বৈধভাবে, সব বৈধ রিক্রটিং এজেন্সির অংশগ্রহণ, একটি স্বচ্ছ ও সর্বজন গৃহীত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর প্রত্যাশিত এ বৈঠককে আমরা স্বাগত জানাই এবং মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশিদের জন্য উন্মুক্ত হোক এটাই আমাদের কাম্য। কিন্তু এ এজেন্ডায় উল্লেখিত ১ ও ২ নম্বর বিষয়সহ আলাচ্যসূচিতে কতিপয় অতীব জরুরি বিষয়ের অনুপস্থিতি আমাদের হতবাক করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মোট ১৮০০ লাইসেন্সধারী রিক্রুটিং এজেন্সির মধ্যে প্রায় ১২০০ রিনিউকৃত বৈধ এজেন্সিদের বঞ্চিত করে শুধুমাত্র ২৫টি লাইসেন্স নিয়ে নতুন করে সিন্ডিকেট গঠনের নীল নকশার কালো প্রক্রিয়া চলছে। যার ইঙ্গিত এজেন্ডার এক নম্বর বিষয়টিতে পাওয়া যায়। যেটি বাস্তবায়িত হলে দেশের ৯৯ শতাংশ রিক্রটিং এজেন্সি বঞ্চিত হবে এবং বাজার শিগগিরই আবার আগের মতো অস্থিতিশীল হবে, যা সরকারের প্রতিশ্রুতি ও স্বচ্ছে ভাবমূর্তির সম্পূর্ণ বিপরীত।

আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, আমরা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে কোনো সিন্ডিকেট চাই না। স্বচ্ছ ও সুনির্দিষ্ট নিয়মে স্বল্প খরচে সব এজেন্সির কাজের সুযোগ নিশ্চিত করে শ্রমিক পাঠাতে চাই।

তিনি আরও বলেন, এ আত্মঘাতী সিন্ধান্ত হবে এ সেক্টরের বিপক্ষে, বায়রার ১২০০ সদস্যের বিপক্ষে, শ্রমিকের স্বার্থের বিপক্ষে। যেখানে নেপাল ১৬০০ রিক্রুটিং এজেন্সিদের নিয়ে সম্মিলিতভাবে স্বল্প খরচে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর মডেল স্থাপন করেছে। সেখানে আমরা কেন ১২০০ এজেন্সিকে বঞ্চিত করে একটি বিশেষ মহলকে সুবিধা দিতে তৎপর। আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সব বৈধ এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত করা হোক। প্রয়োজনে নেপালকে অনুসরণ করা হোক। আমরা এজেন্সির লাইসেন্সের সংখ্যা সংক্রান্ত এজেন্ডা বাতিল চাই। সব বৈধ এজেন্সির কাজের সমান সুযোগ চাই।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত রাখতে আগামী সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধন করবেন তারা। এরপর মন্ত্রণালয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হবে।  

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন, ঐক্যজোটের সদস্য সচিব টিপু সুলতান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
পিএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।