ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাড়ির প্ল্যানে সেফটি ট্যাংকি অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
বাড়ির প্ল্যানে সেফটি ট্যাংকি অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: পয়ঃবর্জ্যগুলো এখনতো খালে যায়, লেকে যায়, এটা বন্ধ করতে হবে। তবে এখনই তা বন্ধ করা সম্ভব না, কারণ বন্ধ করে দিলে পয়ঃবর্জ্যগুলো যাবে কোথায়? এই ভুল আপনি, আমি ও সবাই করেছি।

এখন বিষয়টি সমাধান করতে হলে সবাইকে কাজের সহযোগিতা করতে হবে। প্রতিটি বাড়িতেই বাধ্যতামূলক সেফটি ট্যাংকি নির্মাণ করতে হবে। বাড়ির প্ল্যানে অবশ্যই সেফটি ট্যাংকি উল্লেখ থাকতে হবে।

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে আয়োজিত ‘ভালোবাসা দিবস একদিন শহরকে ভালোবাসি প্রতিদিন’ শীর্ষক কর্মশালা প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম একথা বলেন।

নগরীর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয় নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা ওয়াসা পানির সমস্যাগুলো সমাধান করেছে, এখন ৬০ শতাংশ পানি তারা দিতে পারে। কিন্তু খালগুলো নিয়ন্ত্রণ করা ওয়াসার উপযুক্ত কাজ নয় বলে আমি মনে করি। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ঢাকার খালগুলো দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন যে খালগুলো দখল হয়েছে, সেগুলো উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে।

‘সুয়ারেজ সিস্টেমের মাধ্যমে যাওয়ার কথা হলো বৃষ্টির পানি। কিন্তু সেখানে লিংক (যুক্ত) করে দেওয়া হয়েছে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। এগুলো হয়েছিল দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপানার কারণে। নগরীতে ৩৯টি খাল আছে। এগুলো যদি সঠিকভাবে আমরা দখলমুক্ত করতে পারি, সঠিক ব্যবস্থাপনায় করতে পারি তবে আমাদের উন্নতি হবে।

হাতিরঝিল প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্রেন সাইন প্রকল্প। ১৯৯৬ সালে সংসদের একজন সদস্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন হাতিরঝিলে একটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করার। কারণ তখন সাবের হোসেন চৌধুরীর নের্তৃত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেট বিশ্বে ভালো করছিল। বিভিন্ন দিক বিচার বিশ্লেষণ করে প্রধানমন্ত্রী তখন বলেছিলেন, না, এখানে স্টেডিয়াম নির্মাণ করা যাবে না। মানুষের নিশ্বাস ফেলানোর জায়গা করে দিতে হবে। সেখান থেকে হাতিরঝিল প্রকল্পের স্বপ্ন বাস্তবায়নের শুরু হয়।

‘দেশে আরও ১২টি সিটি করপোরেশনের আছে, ৩২৮টি পৌরসভা আছে, ৫ হাজারের বেশি ইউনিয়ন পরিষদ আছে। বঙ্গবন্ধু শেখ শেখ মুজিবুর রহমান দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এই স্বপ্ন পূরণের জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। ’

মন্ত্রী বলেন, অনেকেই বলেছেন, আইন সংশোধন করার বিষয়। আইন সব দেশেই সংশোধন করা হয়, আমাদের দেশেও প্রয়োজন অনুযায়ী আইন সংশোধন করা যাবে।  

মশক নিধনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের সচিব সাহেব বলেছেন যে আমরা মশা মেরেছি। হ্যাঁ এটি তারা করেছে, কিন্তু গত বছর এর আশানুরূপ কোনো সুফল পাইনি। এমন পরিস্থিতি দেখে আমি নিজেই অপ্রস্তুত হয়ে গেছি। দুঃখজনক বিষয় হলো আমরা মশক নিধনে সন্তোষজনক অগ্রগতি পাইনি।
তাই এবছর আগে থেকেই মশক নিধনের কার্যক্রম শুরু করেছি।

কর্মশালার শুরুতে মন্ত্রী বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। আমরা মূলত এটি প্রেমিক-প্রেমিকার দিবস হিসেবে বিবেচনা করি। মেয়র আতিকুল ইসলাম নতুন একটি ডাইমেনশনে যোগ করেছেন, এই দিবসটি শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সব মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাই।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, গত ৩১ ডিসেম্বর নগরীর খালগুলো সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করে ঢাকা ওয়াসা। খালগুলোর নিয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করি। সেখানে দেখেছি খালগুলোর দুই পাশে দখল হয়ে গেছে। ভরাটও হয়ে গেছে। নির্দয়ভাবে খালগুলো ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে। এদিকে যখন খালগুলো পরিষ্কার করতে যাচ্ছি তখন দেখা যাচ্ছে বাসা-বাড়ির পয়ঃনিষ্কাশনের সংযোগ সরাসরি খালে দেওয়া। সবাই মিলে এই কর্মশালার মাধ্যমে পয়ঃনিষ্কাশনের একটি উপযুক্ত সমাধান খুঁজে বের করতে চাই।

আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আযোজিত কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ। এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা ও ডিএনসিসির কর্মকর্তারা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
এসজেএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।