খুলনা: স্থানীয় প্রতিনিধিকে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) চেয়ারম্যান নিয়োগের দাবিতে খুলনায় অবস্থান ধর্মঘট পালিত হয়েছে।
সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেডিএ-এর সামনে অবস্থান ধর্মঘটের আয়োজন করে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি।
এ সময় তারা অপরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প ও নিয়ম বহির্ভূত বহুতল ভবন নির্মাণ বন্ধ, প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সব অনিয়ম, দীর্ঘসূত্রতা ও দুর্নীতি বন্ধ, রূপসা বাইপাস শিপইয়ার্ড রোড, নিরালা রোড, গল্লামারী থেকে রায়েরমহল, আড়ংঘাটা থেকে রায়েরমহল সড়কের কাজ দ্রুত শুরু, বিদায়ী চেয়ারম্যান আবুল মকিম সরকারের দুর্নীতি-অনিয়ম তদন্তের দাবি জানান।
অবস্থান ধর্মঘটে খুলনার সব রাজনৈতিক, কেসিসির কাউন্সিলর, পেশাজীবী, সামাজিক ও নাগরিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামানের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব শেখ মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মো. জাফর ইমাম, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শ্যামল সিংহ রায়, বিএনপি মহিলা দলের সভাপতি অধ্যক্ষ রেহেনা আক্তার, খুলনা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র মো. আমিনুল ইসলাম মুন্না, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাউন্সিলর মো. আনিসুর রহমান বিশ্বাস, কাউন্সিলর আশফাকুর রহমান কাকন, কাউন্সিলর জেড এ মাহামুদ ডন, কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ বিকু কাজী, কাউন্সিলর ওয়াদুদ মুন্সী, কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ পিণ্টু, কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনি, কাউন্সিলর শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, কাউন্সিলর ডালিম হাওলাদার, সংরক্ষিত কাউন্সিলর মাজেদা খাতুন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর সাহিদা বেগম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর কণিকা সাহা, সাবেক কাউন্সিলর মামুনুরা জাকির খুকুমনি, নাগরিক নেতা অ্যাডভোকেট আ ফ ম মহসীন, সুজন সম্পাদক অ্যাড. কুদরত-ই-খুদা, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি খুলনা মহানগর সভাপতি শেখ মফিদুল ইসলাম, উন্নয়ন কমিটির সাবেক সভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা শেখ মো. আবু হানিফ, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফারুখ হাসানা হিটলু, চেম্বার পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল, দেলোয়ার উদ্দিন দিলু, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব প্রমুখ।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন একটি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠান, এর সঙ্গে কেডিএ, ওয়াসা, বিদ্যুৎ, টেলিফোন, সড়ক ও জনপথ সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন না হলে সব সেবা থেকে নগরবাসী বঞ্চিত হবে। কেডিএ-এর চেয়ারম্যান হিসেবে স্থানীয় প্রতিনিধি নিয়োগের মাধ্যমে খুলনার উন্নয়ন গতিশীল করা, কেডিএ-এর প্রকল্প বাস্তবায়নে জনভোগান্তি এবং অপরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প ও নিয়ম বহির্ভূত বহুতল ভবন নির্মাণ বন্ধ এবং ৫০ বছরের উন্নয়নকে সামনে রেখে পরিকল্পিত নগর পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। বর্তমান সরকার খুলনার উন্নয়নে এক প্রকল্পে একাধিকবার অর্থ বরাদ্দ দিলেও কেডিএ-এর ব্যর্থতার কারণে কোনো প্রকল্পই সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে না, যার কারণে নগরবাসী কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল ভোগ করতে পারছেন না। নগরবাসী এ থেকে মুক্তি চান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
এমআরএম/এমআরএ