ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শান্তিরক্ষীদের সুরক্ষায় বৃহত্তর প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১
শান্তিরক্ষীদের সুরক্ষায় বৃহত্তর প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান

ঢাকা: শীর্ষস্থানীয় সৈন্য ও পুলিশ পাঠানো দেশ হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক শান্তিরক্ষী মোতায়েন রয়েছে। এসব শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনুষ্ঠিত শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের বিশেষ কমিটির সভায় দেওয়া বক্তব্যে একথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।  

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের স্থায়ী অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা শান্তিরক্ষা ব্যবস্থাপনায় ‘জরুরি প্রস্তুতি’ অত্যাবশ্যক করাসহ শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বৃহত্তর আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা গ্রহণের আহ্বান জানান। শান্তিরক্ষীদের অগ্রাধিকারভিত্তিক কোভিড-১৯ এর টিকা দেওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন। কোভিড-১৯ এর মধ্যেও অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন এবং স্বাগতিক দেশের করোনা অতিমারি মোকাবিলা কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তার জন্য জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন তিনি।

আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি ক্রমবর্ধমান বহুমাত্রিক ও বহুমুখী হুমকির কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, এহেন পরিস্থিতিতে শক্তিশালী শান্তিরক্ষা পদক্ষেপের কোনো বিকল্প নেই। ‘অ্যাকশন ফর পিসকিপিং এজেন্ডাসহ (এফরপি) জাতিসংঘ গৃহীত সংস্কার কার্যক্রমের ধারাবাহিকতার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি। এফরপি-এর রিভিউকেও স্বাগত জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।  

মাঠপর্যায়ে কর্মরত শান্তিরক্ষীদের পাঠানো তথ্য-পরামর্শগুলো জাতিসংঘের প্রধান নীতি ও দলিলে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নিয়মতান্ত্রিক প্রচেষ্টা গ্রহণের আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

শান্তিরক্ষীদের উপর হামলার নিন্দা এবং এসব হামলার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি। পারদর্শিতা প্রশ্নে প্রয়োজনীয় জনবল ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জামসহ কাজ করার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার উপর জোর দেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।  

তিনি বলেন, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের দায়িত্ব অবশ্যই হতে হবে স্পষ্ট, বাস্তভিত্তিক ও অর্জনযোগ্য। আর সেগুলো থাকবে সামর্থ্য, মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা এবং সম্পদের যথাযথ সংস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

নারী শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কর্ম-পরিকল্পনার উদাহরণ টেনে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বিভিন্নমুখী ভূমিকা ও নেতৃত্বশীল পদসহ সব পর্যায়ে নারী শান্তিরক্ষী পদায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ বর্তমানে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১
টিআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।