ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শনিরআখড়ায় একটি বাসায় মা-মেয়েসহ তিনজনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পরাণ নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১০)।
গত রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে ঢুকে ইয়াসমিন আক্তার, তার মেয়ে মাহামুদা মেহেররিন ও পাশের ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া রুহুল কুদ্দুস বাবুকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় জাহাঙ্গীর।
এরপর তদন্তে নামে র্যাব-১০ এর একটি টিম। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার অদুরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জের সানারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে পলাতক আসামি জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে করে র্যাব-১০।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান বলেন, গত ৭/৮ বছর আগে শনির আখড়া এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন রুহুল কুদ্দুস বাবু ও জাহাঙ্গীর। একই বাড়িতে পাশাপাশি ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন মাসুদ কিবরিয়া। পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকার কারণে কিবরিয়ার স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তারের ওপর বদনজর দেয় পরাণ। বিষয়টি লক্ষ্য করে পরাণকে বাধা দিয়ে সাবধান করেন তার সাবলেট রুহুল কুদ্দুস বাবু। এরপর বাড়িওয়ালাকে জানানোর পর পরাণকে ওই বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, এসব কারণেই ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিশোধ নিতে পরাণ বিভিন্ন সময় ইয়াসমিন ও তার পরিবারের ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছিলেন। এতেও বাধা হয়ে দাঁড়ান প্রতিবেশি রুহুল। পরিকল্পিতভাবে বোরবার সন্ধ্যায় হত্যার উদ্দেশ্যে পরাণ সঙ্গে চাপাতি নিয়ে রুহলের বাসায় যায়। রুহুল দরজা খুলতেই পরাণ চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এতে রুহুল গুরুতর জখম হয়। তার চিৎকার শুনে পাশের ফ্ল্যাট থেকে ইয়াসমিন ও তার মেয়ে মাহামুদা মেহেরিন বেরিয়ে এলে তাদেরকে কুপিয়ে পরাণ পালিয়ে যায়। পরে ওই বাড়ির বাসিন্দারা তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।
র্যাব-১০ এর এই কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় আহত তিনজনের মধ্যে রুহুলের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে, চোখে আঘাত লাগার কারণে রুহুল চোখ খুলতে পারছেন না। বাকি দুইজন সুস্থ আছে।
গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র্যাবের ওই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১
এসজেএ/এএটি