রাজশাহী: রাজশাহীর পুঠিয়ায় নিখোঁজের পরদিন মেরিনা মাড্ডি (৩৫) নামের তিন সন্তানের জননী এক আদিবাসী নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি দুর্বৃত্তরা ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাড়ির অদূরে থাকা একটি কলাবাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত মেরিনা মাড্ডি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার আটভাগ আদিবাসী গ্রামের নরেন মাড্ডির স্ত্রী। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। তাকে রাতে কোথাও পাওয়া যায়নি।
পুঠিয়ায় ভালুকগাছি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জুয়েল রানা বলেন, নিখোঁজের বাড়ির লোকজন তাকে সারারাত বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয়রা একটি কলাবাগানে তার মরদেহ দেখতে পান। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থল যায়। এরপর নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না।
নিহতের স্বামী নরেন মাড্ডির দাবি, তার স্ত্রীকে দুর্বৃত্তরা ধর্ষণের পর হত্যা করে ফেলে রেখে গেছেন। তার শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি করেন। এছাড়া এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে।
নিহতের পরিবার থানায় মামলা দিলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি রেজাউল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১
এসএস/এমআরএ