ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সেবা সহজীকরণে দুর্ভোগ কমবে, বাড়বে স্বচ্ছতা: কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১
সেবা সহজীকরণে দুর্ভোগ কমবে, বাড়বে স্বচ্ছতা: কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা: সেবা সহজীকরণের ফলে দুর্ভোগ লাঘব হবে ও স্বচ্ছতা বাড়বে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং এর অটোমেশনের ফলে কৃষিপণ্য আমদানি-রপ্তানির সনদ মিলবে অনলাইনে।

এছাড়া সেবাগ্রহীতারা দ্রুত সেবা পাবেন। সনদ গ্রহণে ভোগান্তি কমবে এবং পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ হবে।  

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং এর অটোমেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। এর ফলে এখন থেকে কৃষিপণ্য আমদানি-রপ্তানির সনদ মিলবে অনলাইনে।  

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীন উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের অটোমেশন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।  

এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) ড. মো. আবদুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ওয়াহিদা আক্তার, অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলাম, মহাপরিচালক (বীজ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা এবং স্টেকহোল্ডার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে  ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেটি ছিল অত্যন্ত দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার প্রতিফলন। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। আইসিটির সুযোগ-সুবিধা আজ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে। এর ফলে প্রশাসনিক কাজ দ্রুতগতি সম্পন্ন, স্বচ্ছ এবং দুর্নীতিমুক্ত হয়েছে। পরোক্ষভাবেও বহু মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ধারণের সুযোগ করে দিচ্ছে। মানুষকে আগের মতো এখন আর দীর্ঘ সময় কোনো নির্দিষ্ট পরিষেবা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না।  

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ অটোমেশন প্রক্রিয়ার অধীনে রয়েছে পণ্যের জন্য ইম্পোর্ট পারমিট সার্টিফিকেট, ফাইটো স্যানিটারি সার্টিফিকেট, রিলিজ অর্ডার সার্টিফিকেট, অ্যানকোরেজ সার্টিফিকেট সম্পর্কিত সব কার্যক্রম। সব সার্টিফিকেটের কাজ আগে ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে সম্পাদিত হতো। যা ছিল গ্রাহকদের জন্য যথেষ্ট ভোগান্তিকর এবং সময় সাপেক্ষ। কিন্তু এ অটোমেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গ্রাহক অনলাইনেই এসব সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং সার্টিফিকেট সংগ্রহও করতে সক্ষম হবেন। এছাড়াও এ অটোমেশন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে অনলাইনে ট্রেজারি ফি জমা দেওয়ার সুব্যবস্থা। ফলে, গ্রাহকরা যেকোনো স্থান থেকে সহজেই লেনদেন করতে পারবেন।

অন্যদিকে সুরক্ষিত ডাটাবেজ এসব সার্টিফিকেটের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হবে। সার্টিফিকেটের নির্দিষ্ট নম্বর দিয়ে সার্টিফিকেটের সত্যতা যাচাই বা ভেরিফিকেশনেরও সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও গ্রাহকের ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা আরও সুন্দর করার লক্ষ্যে থাকছে কলসেন্টার সেবা। গ্রাহকের যে কোনো ধরনের জিজ্ঞাসার উত্তর মিলবে এ কলসেন্টারে।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ। অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং এর পরিচালক ড. মো. আজহার আলী, বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি হোসনা ফেরদৌস সুমি, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক  এ কে এম আখতার হোসেন, ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকোর হেড অব লিফ জহুরুল হক সরকার এবং প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সিনেসিস আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহরাব আহমেদ চৌধুরী।  

প্রসঙ্গত, বর্তমানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ৩০টি বিভাগে প্রায় চার হাজার আমদানিকারক এবং রপ্তানিকারক রয়েছে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে পণ্য আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত। এ আটোমেশন প্রক্রিয়ার পর আর কোনো ধরনের সনদ দেওয়ার কার্যক্রম ম্যানুয়ালি চলবে না। এ অটোমেশনের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিটি ও ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান সিনেসিস আইটি লিমিটেড।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।