ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শ্রীলঙ্কান হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শ্রীলঙ্কান হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার সুদর্শন দীপাল সুরেশ সেনাভিরত্ন।

বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবনে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রীলঙ্কান উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ নিয়ে আসার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি। শ্রীলঙ্কান উদ্যোক্তারা এখানে বিনিয়োগ করতে পারেন।

এসময় শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ এবং উদার বৈদেশিক বিনিয়োগ নীতির কথা উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কান হাইকমিশনার বলেন, তার দেশ জাহাজ, হাসপাতাল, পর্যটন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, অ্যাভিয়েশন সেক্টরে বিনিয়োগ এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বিনিময়ে আগ্রহী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশনারি নেতৃত্ব এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সফলতার প্রশংসা করেন হাইকমিশনার।

শ্রীলঙ্কান হাইকমিশনার সংস্কৃতিক পর্যটনের পাশাপাশি সি-ক্রুজ চালু এবং উপকূলীয় এলাকায় পর্যটন অবকাঠামো নির্মাণে তার দেশের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রশংসা করে হাইকমিশনার বলেন, করোনা ভাইরাস ম্যানেজমেন্টে বাংলাদেশের নেওয়া ব্যবস্থায় তিনি অভিভূত।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার জনগণের মধ্যে করোনা ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করেছে। মানুষ সচেতন হয়েছে। ফলে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে।

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি কূটনীতিকদের জন্য করোনা টিকা সরবরাহ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন শ্রীলঙ্কান হাইকমিশনার।

অটিজম বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় সায়মা ওয়াজেদ হোসেনকে অভিনন্দন জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, অটিজম সেক্টরে তার কাজ প্রশংসনীয়।

হাইকমিশনার জানান, অটিজম বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বিনিময়ে আগ্রহী শ্রীলঙ্কা।

অটিজম বিষয়ে মানুষের অসচেতনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের সন্তান হলে বাবা-মাকে সামাজিকভাবে লজ্জায় পড়তে হতো এবং তারা তাদের অটিস্টিক সন্তানদের বাইরে আনতে চাইতো না। মানুষ এখন এ বিষয়ে অনেক সচেতন।

এ পরিস্থিতি উত্তরণে মানুষকে সচেতন করতে সরকার যথেষ্ট ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা খুব শক্ত কাজ ছিল। কারণ অনেক শিক্ষিত পরিবারও তাদের সন্তানদের লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করতো।  

অটিস্টিক, তৃতীয় লিঙ্গসহ বিপদগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

সামাজিক সুরক্ষা সুবিধার আওতায় প্রান্তিক উপকারভোগীদের ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ সহায়তার প্রশংসা করেন হাইকমিশনার। তিনি এটিকে ‘ground breaking’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

নিজের ছাত্রজীবনের কথা স্মরণ করেন হাইকমিশনার বলেন, দিল্লিতে পড়াশোনা করার সময় বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করার চেষ্টা করেছেন।

মুক্তিযুদ্ধে সময় সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সাক্ষাতের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
এমইউএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।