ঢাকা: রাজধানীর খিলগাঁও মেরাদিয়া ভূঁইয়াপাড়ার সাফওয়ান আল নিনাদ (৮) হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন আরেক আসামি খাদিজা আক্তার রানীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খিলগাঁওয়ে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মঈনুল ইসলাম খাদিজাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শিশু নিনাদের বাবা ও মামলার বাদী স্বপন বেপারী বলেন, বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তার কাছে নিনাদ হত্যার জোরালো সব তথ্য দেওয়া হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জহিরুল ইসলাম ওরফে লুড্ডুর স্ত্রী খাদিজা আক্তার রানী ও তার বড় মেয়ে রুমানা ইসলাম যুক্ত।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার দিন রাতে লুড্ডুর বাসায় খাদিজার সঙ্গে নিনাদকে দেখা গিয়েছিল বলে জানিয়েছে তার বাড়ির আরেক ভাড়াটিয়া বিথী। তার দেওয়া তথ্য ও পারিপার্শ্বিক ঘটনার সঙ্গে অনেক কিছু মিলে যায়। এ থেকে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস জহিরুলের স্ত্রী ও তার বড় মেয়ে রুমানা ইসলাম আমার সন্তান হত্যার সঙ্গে জড়িত। বিথী নামের ওই মেয়ের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। মূলত ওই জবানবন্দির ভিত্তিতে খাদিজাকে গ্রেফতার হয়।
সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে শিশু সাফওয়ান আল নিনাদকে খুন করা হয়। ২০১৮ সালে ১৫ জুন ঈদের আগের রাতে জহিরুল ইসলাম শিশুটির গলায় পলিথিন পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে অভিযোগ রয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেও শ্বাসরোধ করে হত্যা করার প্রমাণ মিলেছে।
গলায় মোড়ানো পলিথিনের সূত্র ধরে প্রথম হত্যার রহস্য উদঘাটন করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তবে তাদের চার্জশিটে মূল সন্দেহভাজন খাদিজা আক্তার রানীর নাম না আসায় নারাজি দেয় বাদী স্বপন বেপারী। পরে মামলার তদন্তভার পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তাদের চার্জশিটেও মূল সন্দেহভাজন আসামির নাম না আসায় দ্বিতীয় বার নারাজি দেওয়া হয়। এর পর মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিআইডিকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
পিএম/আরএ