খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির পানছড়ি সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের মেধাবী ছাত্র রাবিক হোসেনের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। এসময় রাকিব হত্যাকাণ্ড বিচারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সম্মেলনে বলা হয়, এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তির মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকার কারণে গত ১৯ জানুয়ারি রাতে পানছড়ি বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা রাকিবের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরিবারের পক্ষ থেকে আসামিদের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দিতে গেলেও পুলিশ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা নেয়। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের প্রায় এক মাস পার হয়ে গেলেও পুলিশ এখনো আসামিদের গ্রেফতার করছে না। ফলে সন্ত্রাসীরা উল্টো মামলা তুলে নেওয়ার নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- রাকিব হোসেনের মা নিলুফা বেগম ও বাবা আলী হোসেন, প্রতিবেশী মাসুম পাটোয়ারী, হাসান আলী ও মো. সোলামানসহ অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, রাকিব কলেজে পড়ার পাশাপাশি মোটরসাইকেল চালিয়ে সংসারের খরচ চালাতো। কলেজে পড়া অবস্থায় স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. রিপন মিয়ার মেয়ে সঙ্গে রাকিবের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ কারণে আরও দুইবার রিপন মেম্বারের ছেলে মো. হাসেম ও কাসেম রাকিবকে মারধর করেছে। প্রেমের সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া যায় মৃত্যুর পর রাকিবের মোবাইল থেকে পাওয়া ওই মেয়ের সঙ্গে অসংখ্য ম্যাসেজ থেকে। শুধু তাই নয়, রাকিবের মারা যাওয়ার দুই দিন পর ২১ জানুয়ারি মোবাইলে ম্যাসেজ দিয়ে বলা হয়, 'দেখ আমার বোনের দিকে নজর দেওয়ার পরিনতি'।
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, প্রভাবশালী রিপন মিয়ার ও তার পরিবারের সদস্যরা চাঁদাবাজি ও ভূমি দখলসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে অন্তত ২৮টি মামলা রয়েছে। কিন্তু এত অভিযোগ থাকা সত্বেও প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
এডি/কেএআর