ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাইনবোর্ড-নামফলকে ইংরেজি: জরিমানা লক্ষাধিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
সাইনবোর্ড-নামফলকে ইংরেজি: জরিমানা লক্ষাধিক ...

ঢাকা: সাইনবোর্ড, নামফলকে বাংলা লেখা নিশ্চিত করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে। পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে মোট এক লাখ ৭২ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানাও করা হয়।


 
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত রাজধানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ ও রামপুরা এলাকায় এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউতে অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এসময় সাইনবোর্ড বাংলা ভাষায় না লেখায় ১০টি ভবন ও প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে আহমেদ টাওয়ার, এ আর টাওয়ার, সফুরা টাওয়ার, ইরেকার্ট হাউজ, বোরাক টাওয়ার, এসুরেন্স, ভিশন কেয়ার, মটকা কিচেন, চাটাই এদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে এবং আরও দুটি প্রতিষ্ঠানকে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া তিনটি ব্যাংকের প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এসব ভবন ও প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড অপসারণ করে বাংলা ভাষায় প্রতিস্থাপন করার জন্য ৭ দিন সময় দেওয়া হয়। এছাড়া ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করার অপরাধে একটি ফুলের দোকানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
 
কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউতে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল হামিদ মিয়া মোবাইল কোর্টের নেতৃত্ব দেন। এসময় তিনটি প্রতিষ্ঠানকে মোট নয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
 
সাইনবোর্ড বাংলা ভাষায় না লেখায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ রামপুরা এলাকায় ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪৮ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একইসঙ্গে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়। এর মধ্যে আল কাদেরিয়া হোটেলকে ১০ হাজার, এসকোয়ার ইলেকট্রনিক্সকে ৫ হাজার, অরেঞ্জ ফার্নিচারকে ৫ হাজার, রানার মোটরসাইকেলের দোকানকে ১০ হাজার, বোলিং জুতার দোকানকে ১৫ হাজার, ভিভো মোবাইল ফোনের দোকানকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলায় সাইনবোর্ড প্রতিস্থাপনের জন্য এক সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়। যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে ফেস জামা-কাপড়ের দোকান, ফিশারম্যান খাবার দোকান, রেমন্ড কাপড়ের দোকান, টারগেট কাপড়ের দোকান ও ভিভো মোবাইল ফোনের দোকান।
 
এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিফাত ফেরদৌসের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত রামপুরা এলাকায় ক্রিসেন্ট সুপার শপকে ১০ হাজার ও স্প্যান জুতার দোকানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

সাইনবোর্ড বাংলায় না লেখায় রামপুরায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পার্শিয়া সুলতানা পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এর মধ্যে ট্রান্সকম ইলেক্ট্রনিক্স, নাদিয়া ফার্নিচার ও ব্রাদার্স ফার্নিচার এর প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
 
উচ্চ আদালতের এক রিট পিটিশনে প্রদত্ত আদেশ অনুযায়ী সব প্রতিষ্ঠানের (দূতাবাস, বিদেশি সংস্থা ও তৎসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র ব্যতীত) নামফলক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার ইত্যাদি বাংলায় লেখা বাধ্যতামূলক।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২১
এস এইচ এস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।