বরিশাল: গভীর রাতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়েরকৃত মামলা দায়সারা বলে দাবি করেছে আন্দোলনরতরা। পাশাপাশি মামলাটি তারা প্রত্যাখ্যানও করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবেনর নীচে এক সংবাদ সম্মেলনে সয়েল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বক্তব্য প্রদানকালে শিক্ষার্থীদের পক্ষে এ কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে বরিশাল নগরের রুপাতলী হাউজিং এলাকায় আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটে। তখন থেকেই আমরা আন্দোলন করছিলাম, আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সময় দিয়ে বলেছিল যে তারা সকল আসামির বিরুদ্ধে মামলা করবে। কিন্তু আজ যখন মামলাটি হলো তখন দেখলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি দায়সারা মামলা করেছে। মামলাটি কাউকে আসামি না করে একদল অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। আর যে মামলাটি হয়েছে সেটি গুরুতর জখমের, অথচ আমাদের শিক্ষার্থীদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারা হয়েছে, গুরুতর জখম করা হয়েছে, স্মার্টফোন, মানিব্যাগ ছিনতাই করা হয়েছে। ফলে আমরা মনে করছি এটি একটি অসম্পূর্ণ মামলা। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের করা মামলাটি প্রত্যাখান করছি এবং সন্ত্রাসীদের নাম ও প্রকৃত ঘটনা অর্থাৎ যে যে অপরাধ সংগঠিত হয়েছে তা উল্লেখ করে মামলা করার দাবি জানাচ্ছি। আর তা না হলে আরো কঠোর থেকে কঠোরতম আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
তিনি বলেন, ভিকটিমরা কয়েকজনকে শনাক্ত করতে পেরেছে। যাদের নাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দেয়াও হয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন ও মানিক এবং তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী। এছাড়া আরো কিছু নাম রয়েছে যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমাদের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের দেয়া ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম শুক্রবার বিকেল ৫ টায় শেষ হচ্ছে। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ করে প্রকৃত ঘটনা উল্লেখ করে যদি মামলা না করে এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করে তাহলে শুক্রবার বিকেল ৫ টার পর থেকে আমরা পরবর্তী কর্মসূচিতে যাবো।
সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বড় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৪ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
এমএস/এমএমএস