ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাছসহ ট্রলার লুট, ৭ জেলেকে পিটিয়ে জখম

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
মাছসহ ট্রলার লুট, ৭ জেলেকে পিটিয়ে জখম

বরগুনা: বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ সুন্দরবন সংলগ্ন বলেশ্বর নদের মোহনা থেকে জলদস্যুরা জেলে বহরে হামলা চালিয়ে একটি মাছ ধরা ট্রলারসহ প্রায় ৫০ হাজার টাকার মাছ ও রসদ সামগ্রী লুটে নিয়ে যায়। এ সময় ওই ট্রলারে থাকা সাত ছেলেকে পিটিয়ে আহত করে মুখোশধারী ১২-১৫ জনের দস্যু বাহিনী।

শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সাড়ে ৩টার দিকে সুন্দরবন সংলগ্ন বলেশ্বর নদের মোহনায় এ ঘটনা ঘটে। আহত জেলেরা হলেন- ট্রলারের মালিক জাকির সরদার, জেলে কাওছার হোসেন, আরিফ হোসেন, জামাল হোসেন, রাসেল আকন, ইলিয়াস হোসেন ও সিফাত খান। পটুয়াখালী কুয়াকাটা থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তারা পাথরঘাটার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

এফবি সুফিয়া ট্রলারের মালিক মালিক জাকির সরদার বাংলানিউজকে বলেন, সুন্দরবন সংলগ্ন বলেশ্বর নদের মোহনায় মাছ ধরার জন্য অপেক্ষা করছি এমন সময় রাত সাড়ে তিনটার দিকে নামবিহীন একটি ট্রলারে অন্তত ১২-১৫ জনের মুখোশধারী পাইপগানসহ আমাদের ট্রলারে উঠে আসে। এসময় আমাদের ৭ জেলেকে পাইপগান দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। পরে পার্শ্ববর্তী অন্য একটি নামবিহীন ছোট নৌকায় আমাদের উঠিয়ে দিয়ে আমাদের ট্রলারসহ লুটে নিয়ে যায় অন্তত ৫০ হাজার টাকার মাছ সামগ্রী। এছাড়াও আমাদের প্রত্যেকের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। তবে রাতের অন্ধকারে তাদের কাউকে চেনা যায়নি। প্রত্যেকের হাতে পাইপগানসহ দেশীয় অস্ত্র ছিল।  

পটুয়াখালীর মহিপুরের মেসার্স প্যাদা ফিসের মালিক মিজানুর রহমান প্যাদা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সাতজনকে চিকিৎসা দিয়ে পাথরঘাটা গাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ডাকাতির খবর আমরা শুনেছি আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য ট্রলার মালিককে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ট্রলার ছিনতাইয়ের একটি ঘটনা শুনেছি। লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।