ঢাকা: শ্রম আইনের বিভিন্ন ধারাকে কালো আইন বলে আখ্যা দিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট। সেইসঙ্গে আইনের ২৩, ২৬, ২৭ (৩ক), ১৭৯ (২.৫), ১৮০ (১খ), ২৩২(৩) নম্বর ধারাসহ শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী ধারাগুলো বাতিলের দাবিও জানিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুল, সহ-সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন, যুগ্ম সম্পাদক খুরশিদ আলম মিথুন, অর্থ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শরিফ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের প্রতিদিনের কর্মভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে ব্রিটিশ ও পাকিস্থান আমলের ঔপনিবেশিক আইন দিয়ে। ২০০৬ সালের ১১ অক্টোবর স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন শ্রম আইনে ঔপনিবেশিক শাসকরা শ্রমিকের যে সব অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছিলো, স্বাধীন বাংলাদেশের শাসকরা সেসব অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। শ্রমজীবী মানুষের প্রতিবাদের মুখে ২০১৩ এবং ২০১৮ সালে শ্রম আইন সংশোধন করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই শ্রমজীবী মানুষ প্রতারিত হয়েছে।
তারা আরও বলেন, সম্প্রতি শ্রম আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সংশোধনীতে শ্রম আইনের শ্রমিক স্বার্থবিরোধী ধারাগুলো বাতিল, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যু বা পঙ্গুত্বে ক্ষতিপুরণের পরিমাণ আজীবন আয়ের সমান নির্ধারণ, সব শ্রমিকের মুনাফায় অংশগ্রহণ, চাকরি অবসানকালিন সুবিধার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্যের সঙ্গে মজুরি নির্ধারণের সুযোগ, আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ অনুসারে অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় শ্রমিক স্বার্থ বিরোধ শ্রম আইন নর্দমায় নিক্ষিপ্ত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
ডিএন/এমআরএ