ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডি: তদন্ত শেষ হয়নি দুই বছরেও

আবাদুজ্জামান শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডি: তদন্ত শেষ হয়নি দুই বছরেও চকবাজারের চুড়িহাট্টায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবন। ফাইল ফটো

ঢাকা: পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির দুই বছর পেরিয়ে গেলেও তদন্ত শেষ হয়নি। সন্দেহভাজন ৫ জনের নাম ঠিকানাও উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।

বছরখানেক আগে পুলিশ ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পায়। কিন্তু তদন্ত শেষ না হওয়ায় আদালতে চার্জশিট দেওয়াও সম্ভব হয়নি।

পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ওয়াহেদ ম্যানশনে একটি বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগে ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে। ওই ভবনে কেমিক্যাল গোডাউন থাকায় মুহূর্তে তা ভয়াবহ রূপ নেয়। ঘটনাস্থলেই পুড়ে মৃত্যু হয় ৬৭ জনের। দগ্ধ ১৫ জনের মধ্যে ৪ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ৭১।  

পুলিশ বলছে, শিগগিরই এ মামলা নিষ্পত্তির ব্যাপারে তারা আশাবাদী।

শুক্রবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ বিষয়ে কথা হয় চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদারের সঙ্গে।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, চুড়িহাট্টায় নিহতদের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পুলিশ হাতে পেয়েছে। ভবনের দুই মালিকের নাম উল্লেখ করে আসিফ নামে এক ব্যক্তি মামলা করেন। আমরা ওই দুই জনকে গ্রেপ্তারের করি। বর্তমানে তারা জামিনে আছেন। এছাড়া এই ঘটনায় সন্দেহভাজন ৫ গোডাউন মালিকের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।

তিনি আরো জানান, চুড়িহাট্টার ঘটনায় ৬৭ জনের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আমরা পেয়েছি করোনার আগেই। আশা করি তদন্ত শিগগিরই শেষ হবে। পরে আমরা আদালতে চার্জশিট দেব।

এদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, চুড়িহাট্টার ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া প্রায় সবগুলো মৃতদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দেশে করোনা আসার আগেই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  

ঢাকার জেলা প্রশাসনের অফিস সহকারী মো. জামাল উদ্দিন জানিয়েছিলেন, চুড়িহাট্টা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট ৭১ জনের মৃত্যুর তালিকা আছে। ঘটনাস্থলে পুড়ে মারা যান ৬৭ জন। এছাড়া দগ্ধ ছিলেন ১৫ জন। এদের মধ্যে ৪ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ৭১টি মরদেহের মধ্যে চারজনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া পুলিশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। কারণ এই চারটি মরদেহ সহজেই শনাক্ত হয়েছিল।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে গিয়ে তাদের নথিতে দেখা যায়, ৬৭ জনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।