ঢাকা: বায়ান্নর ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সরকারি বাহিনীর নির্বিচার গুলিতে বহু লোক প্রাণ হারালেও সবাই স্বীকৃতি পাননি। ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ এ তথ্য সংরক্ষণ করা না হলে ভাষা শহীদ কত, তা পরবর্তী প্রজন্মের কাছে অজানা রয়ে যাবে।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানােনা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের স্বাধীনতার সোপান রচিত হয়েছে। অথচ ৬৯ বছর পরে এসেও ভাষা আন্দোলনের শহীদ ও ভাষা সৈনিকদের পূর্ণাঙ্গ কোনো তালিকা নেই। দেশের আদালতের নির্দেশ থাকার পরও ভাষা শহীদ ও ভাষা সৈনিকদের তালিকা প্রণয়ন না হওয়া এবং তাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে সময়ক্ষেপণ করা দুঃখজনক ও হতাশার। এ ব্যর্থতার কারণে শাসকদের ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে একদিন।
বক্তারা আরও বলেন, মহান ভাষা আন্দোলনের এত বছর পরও শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা না হওয়া এ রাষ্ট্রের ব্যর্থতা, শাসকদের ব্যর্থতা। কেউই এ ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারে না। ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিনকে রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হয়নি। অতি সত্বর ভাষা সৈনিকদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করুন। তা না হলে আন্দোলন ও সংগ্রাম চালিয়ে যাবো। এ তালিকা করতে আমরা দায়বদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধাদের মতো ভাষা সৈনিকদের ভাষা বীর হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও মর্যাদা দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সারা বছর শহীদ মিনারগুলো অবহেলায় থাকে। এগুলো সারা বছর সংরক্ষণের জন্য সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ ন্যাপের ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, জাসদ উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এনামুজ্জামান চৌধুরী, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক জোটের সভা প্রধান সৈয়দ মইনুজ্জামান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
এইচএমএস/আরআইএস