মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় গৃহবধূ কুলসুম আক্তারের (৩৫) ছেলে কামরুল হাসানকে (১৩) বিদেশে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেয় সুমন শেখ (৩১)। এজন্য কুলসুমের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ছয় লাখ টাকাও নিয়েছে।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পিবিআইয়ের মুন্সিগঞ্জ জেলার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে হত্যাকাণ্ডের মূল ঘটনা জানিয়েছে তারা।
জানা যায়, ৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হাসাড়গাঁও গ্রামের জমিতে এক নারীর হাড়, মাথার খুলি, স্যান্ডেল, মাথার ক্লিপ ও ছেঁড়া কাপরের অংশ পাওয়া যায়। যা দেখে কুলসুমের ছেলে কামরুল তার মায়ের মরদেহ নিশ্চিত করে। এর আগে ১৭ জানুয়ারি খুন হন কুলসুম। এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে ৭ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে শ্রীনগর থানায় মামলা করেন। কুলসুম বেগম পূর্ব রুশদী গ্রামের আলী আকবর মোড়লের মেয়ে। সে পূর্ব হাসাড়গাও গ্রামে বসবাস করতো। মূল আসামি সুমন শেখও একই গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলন করে পিবিআই জানিয়েছে, ১৭ জানুয়ারি মায়ের বাসা থেকে নিজ বাসায় যাচ্ছিলো কুলসুম। এরপর পরিবারের সদস্যরা তার মোবাইল ফোন বন্ধ পায়। এর আগে তার ছেলে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর চলে যায় কর্মস্থলে যোগ দিতে। কুলসুমের মোবাইল বন্ধ পেয়ে তার আত্নীয় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। ৫ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩ টার দিকে স্থানীয় গ্রামের এক ব্যক্তি ফোন করে কামরুলকে জানায় পূর্ব হাসাড়গাও গ্রামে তার বাবার জমিতে হাড়, মাথার খুলি, স্যান্ডেল, মাথার ক্লিপ ও ছেঁড়া কাপড়ের অংশ পাওয়া গেছে। তখন কামরুলের বোন ইসরাত জাহান অরিন মরদেহের সঙ্গে থাকা এসব দেখে শনাক্ত করে। এরপর উক্ত বিষয়টি শুনে মানিকগঞ্জ থেকে ঘটনাস্থলে এসব কামরুলও নিশ্চিত করে। এরপর পিবিআই ৭ ফেব্রুয়ারি এ মামলাটি গ্রহণ করে।
আরও জানান, গোপণ সূত্র ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনায় অভিযুক্ত সুমনকে শনাক্ত করে। ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১ টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার রামকৃষ্ণদি বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন আসামি সুমন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পিবিআইয়ের জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হক প্রমুখ
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
কেএআর