ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লাখো পর্যটকে মুখর কক্সবাজার সৈকত

সুনীল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
লাখো পর্যটকে মুখর কক্সবাজার সৈকত

কক্সবাজার: সাপ্তাহিক এবং মাতৃভাষা দিবসের ছুটি মিলিয়ে টানা ৩ দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে আবারও ভ্রমণ পিপাসুদের ঢল নেমেছে।

করোনা মহামারীর সময়ে দীর্ঘ দিনের মন্দাভাব কাটিয়ে এই প্রথম এতোবেশি পর্যটক সমাগম কক্সবাজারে।

এখানকার চার শতাধিক হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউসে কোনো রুম খালি নেই।

অন্যদিকে পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সমুদ্র সৈকতসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।

সমুদ্র স্নান, সৈকতের বালুতে ছুটাছুটি, সূর্যাস্ত অবলোকনসহ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণের অনন্দটাই যেন পর্যটকদের কাছে স্বপ্নের মতোন। তাইতো ছুটি পেলেই সাগর জলে শরীর-মন ভাসাতে তারা ছুটে আসেন কক্সবাজারে।

শুক্রবার ও শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সৈকতের সুগন্ধা ও লাবনী পয়েন্টে দেখা গেছে হাজারো প্রাণের কোলাহল। যেন অন্য রকম প্রাণের উচ্ছ্বাস।

ঢাকার কেরানীগঞ্জের সিগ্ধা রহমান শুক্রবার বেড়াতে আসেন কক্সবাজার। স্নিগ্ধা জানান, দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকতে থাকতে আর পারছিলাম না। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে কক্সবাজার ছুটে এসেছি। অনেক ভাল লাগছে।

করোনাকালে দীর্ঘদিনের ঘরবন্দি জীবনের একঘেয়েমি কাটাতেই এখানে ছুটে আসা। যেহেতু টিকা চলে এসেছে, টেনশনও একটু কমেছে। আমরা মজা করছি এখানে।  এভাবেই অনুভুতির কথা জানালেন আরেক পর্যটক মো. আলাউদ্দিন।

কলেজ ছাত্র মো. রাশেদ বলেন, সমুদ্র আমার কাছে বরাবরই স্পেশাল। সুযোগ পেলেই কক্সবাজার ছুটে আসি। তবে করোনা মহামারীর কারণে গত এক বছর কম আসা হয়েছে। তবে এবার এতোবেশি লোক সমাগম দেখে সত্যিই অবাক হলাম।

এদিকে পর্যটকদের ঢল সামলাতে এবং মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে হোটেল মোটেলগুলোতে বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

হোটেল মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালের জেনারেল ম্যানজার মোশারফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার তিন দিনের শতভাগ বুকিং। শহরের কমবেশি সব হোটেল মোটেলে কোনো রুম খালি নেই। আমরা চেষ্টা করছি সবোর্চ্চ সেবা দিতে।

হোটেল ঝাউবাগানের সত্ত্বাধিকারী ও কক্সবাজার রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির নেতা মো. আলী বাংলানিউজকে জানান, একটানা তিন দিনের ছুটিতে কয়েক লাখ পর্যটক কক্সবাজার এসেছেন। বাড়তি চাপ সামলাতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

চাপের মাঝেও সব পর্যটক যেন কক্সবাজার থেকে ভাল অনুভূতি নিয়ে যেতে পারেন, সেই চেষ্টা করছি আমরা। যোগ করেন তিনি।

এদিকে পর্যটকদের ভ্রমণ আনন্দময় এবং নিরাপদ ভ্রমন নিশ্চিত করতে সমুদ্র সৈকত, হিমছড়ি, ইনানী, সেন্টমার্টিনসহ বিশেষ বিশেষ পর্যটন স্পটগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহি উদ্দিন।

তিনি বলেন, তিনদিনের ছুটিতে লাখো পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছেন। এসব পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পোশাকধারী এবং সাদা পোশাকে কয়েকশ’ পুলিশ সদস্য সৈকতসহ আশ পাশের পর্যটন স্পটে দায়িত্ব পালন করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
এসবি/এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।