ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রকল্পের জনবলকে দ্রুত রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
প্রকল্পের জনবলকে দ্রুত রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি .

ঢাকা: সরকারের ২৫০টি উন্নয়ন প্রকল্পের জনবলকে দ্রুত রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছে প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর ফোরাম।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মো. আকরাম খাঁ হলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মো. শাহ আলম। লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, সব সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের জনবলের চাকরি প্রকল্প শেষে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে মর্মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠি মোতাবেক ‘উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে নেওয়া বাঞ্চনীয়’ আদেশের দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রকল্পের জনবলের বিপক্ষে সুপ্রিম কোর্টের মানবতাবিরোধী ও প্রহসনমূলক রায় বাতিল করে সমস্ত সমাপ্ত প্রকল্পের জনবলের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য যে মামলা চলমান, তাদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। এছাড়া সব সরকারি দপ্তরে রাজস্ব খাতের শূন্য পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রকল্পে কর্মরত জনবলদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে।

তিনি বলেন, প্রকল্পে নিয়োগের সময় সরকারি চাকরিজীবীদের মতো জাতীয় বেতন স্কেলে বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট পদ্ধতিতে নিয়োগ দিতে হবে। প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরে প্রকল্পে যোগদানের তারিখ থেকে চাকরির ধারাবাহিকতা থাকবে। এতে যদি কেউ উচ্চতর গ্রেড, পদোন্নতি, বকেয়া বেতন ও ভাতাদি প্রাপ্য হন তবে তা দিতে হবে। প্রকল্প গ্রহণের সময় আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ বন্ধ করে সরাসরি নিয়োগ পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে যেসব কর্মচারী পাঁচ বছর বা তার বেশি সময় ধরে মাস্টাররোলে বা দৈনিক মজুরিসহ আউটসোর্সিং ভিত্তিতে কর্মরত আছেন তাদের রাজস্ব খাতের শূন্য পদে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে।

যেসব প্রকল্পে ‘সর্ব সাকুল্য বেতন’ পদ্ধতি ও ‘আয় থেকে দায়’ পদ্ধতিতে বেতন ভাতা বিদ্যমান তা পরিবর্তন করে ‘নিয়মিত বেতন ভাতা’ ও ‘জাতীয় বেতন স্কেলে’ বেতন-ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করার দাবিও জানানো হয় এ সময়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জামান আহাম্মেদ, মো. সজীব সরোয়ার, এস এম রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।