ফেনী: এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসী বেগম।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খবর পেয়ে তিনি উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে ওই মেয়ের বিয়ে বন্ধ করে দেন।
ভুক্তভোগী মেয়েটি উপজেলার জিএমহাট ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের জসিম উদ্দিনের মেয়ে ও জিএমহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। ওই মেয়েটির সঙ্গে ছাগলনাইয়া উপজেলার সতর ইউনিয়নের চাঁদগাজী এলাকার এক যুবকের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফুলগাজী ইউএনও মেয়েটির বাড়িতে জিএমহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য মো. নাসির উদ্দিন শিপনকে পাঠিয়ে বিয়েটি বন্ধ করে দেন। পরে মেয়েটিকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেবে না মর্মে মুসলেকা দেন মেয়ের অভিভাবক।
বাল্যবিয়ের অনুষ্ঠানে জিএমহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মিজানুর রহমানের উপস্থিতির বিষয় তথ্য পেয়ে তাকে মোবাইলফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বরপক্ষের নিমন্ত্রিত অতিথি। মেয়েটি আমার স্কুলের এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
জিএমহাট ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক অসুস্থতাজনিত কারণে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি বাল্যবিয়ে বন্ধের বিষয়ে ফুলগাজী ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান।
জিএমহাটের ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন শিপন বলেন, উপজেলা ইউএনওর নির্দেশে জসিমের বাড়ি গিয়ে মেয়েটির জন্মনিবন্ধন সংগ্রহ করেছি ও বিয়ে বন্ধে অভিভাবকের লিখিত কাগজ নিয়েছি। এরপরেও গোপনীয়ভাবে বিয়ে বিষয়ে কিছু করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে।
এদিকে মেয়েটির নিজ গ্রাম লক্ষ্মীপুরের ইউপি সদস্যকে (হেলাল) বার বার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
এসএইচডি/এএটি