ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: কালো ব্যানার, বুকে কালো ব্যাচ, হাতে শোভিত ফুল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করছে সর্বস্তরের জনতা। একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সর্ব-সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এবার করোনার মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদযাপনের জন্য কড়াকড়ি আরোপ করা হলেও শ্রদ্ধা জানাতে আসা লোকদের কম হবে আশঙ্কা করা হলেও বাস্তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার, বিরোধীদলীয় নেতা, ভাষা সৈনিকবৃন্দ, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়রবৃন্দ, ডাকসু, মন্ত্রী পরিষদ, কুটনৈতিক মিশনের প্রধান ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সদস্যবৃন্দ, মহান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারবৃন্দসহ ভিআইপিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সর্বস্তরের জনতা শহীদ মিনারের দিকে আসতে থাকে। পলাশী দিয়ে প্রবেশ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফুল দিয়ে দোয়েল চত্বর দিয়ে বের হয়ে যান তারা।
শহীদ মিনারে শৃঙ্খলা বিধানে কাজ করছেন স্কাউটের সদস্যরা। জানতে চাইলে সহকারী রোভার মেট মুরাদ হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, বরাবরের মতো সকল স্তরের জনতা আসছেন। আমরা ধারণা করেছিলাম, প্রতিটি সংগঠন থেকে ৫ জন করে আসবেন। শারীরিক দূরত্ব মানা সম্ভব হবে। কিন্তু শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে অধিকাংশ সংগঠন থেকে অধিক সংখ্যক লোক এসেছেন। এ কারণে শারীরিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না।
পিতার হাত ধরে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসেছেন সায়মা জান্নাত। অনুভূতি জানতে চাইলে বাংলানিউজকে বলেন, বাংলা ভাষার জন্য রক্ত দেওয়া শহীদদের ফুল দিতে এসেছি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালোবাসি। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৮ ঘণ্টা ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১
এসকেবি/ইউবি