ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: করোনা অতিমারীর মধ্যে উদ্যাপিত হয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহর। ভিআইপিদের প্রবেশের সময় স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও সর্বসাধারণের জন্য যখন উন্মুক্ত করা হয় তখন ব্যাতিক্রম পরিলক্ষিত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধামন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর পলাশী দিয়ে বরাবরের মতো জনতার ঢল নামে। এসময অধিকাংশের মুখে মাস্ক থাকলেও শারীরিক দূরত্ব মানা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে অনেক বিধিনিষেধের কথা বলা হলেও বাস্তবে তা পালন করা হয়নি। ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতিটি সংগঠন থেকে পাঁচ জন করে ফুল দেওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ সংগঠন সেই নিযম মানেনি। আবার অনেকে মাস্ক ছাড়াই এসেছেন। গ্রুপ ছবি তুলেছেন। এমনকি শৃঙ্খলা বিধানের জন্য বিএনসিসি, স্কাউট সদস্যদের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব রেখে দায়িত্ব পালন সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনসিসি সদস্য ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ধারণা ছিল লোকজন কম আসবে। কিন্তু প্রতিবছরের মতো লোক হয়েছে। কোনো অংশে কম হয়নি। যে কারণে আমরাও শারীরিক দূরত বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে পারছি না। কারণ সবাই মূল বেদীতে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তা ঠেকাতে ব্যরিকেড দিতে হল।
অপরদিকে শ্রদ্ধা জানাতে অভিভাবকদের হাত ধরে ছোটরাও এসেছেন। অনেকে মূল বেদীতে ছবি তোলার আবদার বিএনসিসির সদস্যরা পূরণ করে দিচ্ছেন। ফুল দিয়ে উৎফুল্ল কিন্ডারগার্ডেনের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী নাসরিন সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, এই প্রথমবার শহীদ মিনারে প্রথম প্রহরে ফুল দিতে পেরেছি মূল বেদীতে। আমার খুবই ভালো লাগছে।
রাত তিনটা পর্যন্ত প্রথম প্রহরে সংগঠনগুলোকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময় ঘণ্টা: ০৬০৭ ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১
এসকেবি/ইউবি