পিরোজপুর: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাতিজাদের হামলায় মো. ইসমাইল চৌকিদার (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের পরিবার, স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইসমাইল হোসেন ও তার ছেলে ফিরোজ চৌকিদার উপজেলার দেবীপুরে শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় রামচন্দ্রপুর এলাকায় আগে থেকে ওত পেতে থাকা তার ভাতিজা সাইফুল চৌকিদার ও শহীদ চৌকিদারের নেতৃত্বে সাত-আট জন তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং ইট দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়। ফোন পেয়ে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পিরোজপুর জেলা হাসাপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তার মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত তার ছেলে ফিরোজ চৌকিদার খুলনা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন।
নিহতের পরিবার সূত্র জানান, বিবদমান জমিতে ইসমাইল চৌকিদারের ভাতিজা সাইফুল চৌকিদার ও শহীদ চৌকিদার ঘর তুলতে চেষ্টা করেন। এ নিয়ে ইসমাইল চৌকিদার সম্প্রতি পিরোজপুর আদালতে মামলা করেন। পরে আদালত ওই জমিতে ঘর তুলতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এতে ভাতিজারা ক্ষিপ্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে চাচাকে হত্যা করে।
নিহত ইসমাইল চৌকিদারের ছেলে গুরুতর আহত ফিরোজ চৌকিদার জানান, শনিবার রাতে আমি ও আমার বাবা নানা বাড়ি যাচ্ছিলাম। পথে আমার চাচাতো ভাই সাইফুল চৌকিদার ও শহীদ চৌকিদার, জুয়েল চৌকিদার ও সোহেল চৌকিদারসহ ৭/৮ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়।
ইন্দুরকানী থানার বারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, শনিবার রাতে খবর পেয়ে উপজেলার রামচন্দ্রপুর এলাকা থেকে বাবা ও ছেলেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১
আরএ