সিরাজগঞ্জ: নববধূর ইচ্ছা পূরণ করতে মাত্র ২০ কিলোমিটার পথে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করলেন সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান (মিলু)।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে কনে জেরিন খানের পৈতৃক বাড়িতে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। জাহিদুর রহমান মিলু পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর উত্তরপাড়া গ্রামের রওশন আলীর ছেলে। কনে জেরিন খান একই উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ব্যবসায়ী উজ্জ্বল খানের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে হেলিকপ্টার চড়ে বিয়ে করতে কনের বাড়ি যান বর জাহিদুর রহমান মিলু। আর বরযাত্রীরা মাইক্রোবাসে যান। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেলে হেলিকপ্টারযোগেই বাড়ি ফেরেন বর-কনে। তবে হেলিকপ্টার ভাড়ার পরিমাণের বিষয়টি জানা যায়নি।
এদিকে একই উপজেলার মাত্র ২০/২৫ কিলোমিটার দূরত্বে এ বিয়েতে হেলিকপ্টারে করে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ বিয়ে দেখতে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল সংখ্যক লোকজন ভিড় জমান।
কলেজ শিক্ষক আহমেদ সালাউদ্দিন জানান, হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের ঘটনা তাদের এলাকায় এটিই প্রথম। এদিকে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের আয়োজন দেখতে সুজানগর উপজেলার অনেক জায়গা থেকে ভিড় করেন লোকজন।
সুজানগর পৌরসভার মেয়র আব্দুল ওহাব বলেন, নববধু জেরিন খানের শখ পূরণের জন্য হেলিকপ্টারে বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আর শখ পূরণে করতে বিরাট অংকের ব্যয় বহন কনের বাড়ি থেকেই করা হয়েছে বলা হচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান মিলু বাংলানিউজকে জানান, আমার শ্বশুরের ইচ্ছে ছিল তার মেয়েকে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে শ্বশুরবাড়িতে পাঠাবেন। এ জন্য তিনি নিজেই হেলিকপ্টার ভাড়া করেছেন। বিয়ের পর কনেকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়েই এসেছি।
সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রামাণিক বলেন, বিয়ে হচ্ছে জানি। আমাকেও দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওইদিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ভিজিট থাকার কারণে আমি বিয়েতে থাকতে পারিনি। হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করেছেন কিনা জানা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৭ ঘন্টা, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
এমএইচএম