মাগুরা: কবির হোসেন। পেশায় চা বিক্রেতা।
কবির হোসেন পৌরসভার শিবরামপুর গ্রামের বাসিন্দা। করোনা মহামারির মধ্যে যখন চায়ের দোকান বন্ধ ছিল তখন থেকে তিনি ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নিয়ে মাগুরা শহরের বিভিন্ন অলি-গলিতে চা বিক্রি শুরু করেন। তার চায়ের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক।
কবির হোসেনের পরিবারে সদস্য সংখ্যা ৬ জন। চা বিক্রি করে দিনে ৪০০-৫০০ টাকা। ওই টাকায় সংসারের খরচসহ ছেলের পড়ালেখার খরচ চালান তিনি। তার বড় ছেলে ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি ইঞ্জিয়ারিং কলেজে পড়ালেখা করেন। কবিরের স্বপ্ন চা বিক্রির টাকায় ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার বানাবেন।
মোটরবাইকে করে চা বিক্রি করেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে কবির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘যারা আমার চা পান করেন এদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ দোকানি ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী। তারা তাদের প্রতিষ্ঠান ফেলে চা পান করতে কোথাও যেতে পারেন না। তাই আমাকে ফোন করে বললে আমি গিয়ে চা দিয়ে আসি। এতে তাদের সময় বেঁচে যায়, আর আমার কিছু টাকাও হয়।
মাগুরা নতুন বাজার এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ী মহন শিকদার বাংলানিউজকে বলেন, আমার ওষুধের ব্যবসা আছে। দোকান ফেলে চা পান করতে যাওয়ার সময় হয় না। তাই ফোন করলে কবির ভাই চা দিয়ে যান, এতে আমার সময় বেঁচে যায়। তাছাড়া কবির ভায়ের চায়ের মানও অনেক ভাল।
শিবরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রকাশ সাহা বাংলানিউজকে বলেন, মোটরবাইকে করে চা বিক্রি করে বেড়ানো এটি মাগুরা শহরের একটা ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। ফোন দিলেই কবি চা নিয়ে হাজির হন। তার এক কাপ চায়ের দাম ৫ টাকা। তার তৈরি চা খেতে ভালোই লাগে।
মাগুরার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আশুতোষ সাহা বাংলানিউজকে বলেন, কবির একজন পরিশ্রমী মানুষ। তিনি মোটরবাইকে করে শহরের বিভিন্ন জায়গায় চা বিক্রি করেন। তার চায়ের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। তার এমন উদ্যোগে সাধুবাদ জানাই।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
এনটি