আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সভা-সেমিনার, প্রতিবাদী সাইকেল র্যালি ও মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি ছিল এই শহীদ দিবেস।
বাংলাদেশ সোশ্যাল এক্টিভিস্ট ফোরাম (বিএসএএফ): জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা বাংলা করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বিএসএএফ)। আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক পথসভা ও র্যালি থেকে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। পথসভায় বক্তারা বলেন, ‘মাতৃভাষা মানুষের মৌলিক অধিকার। পাকিস্তান তা কেড়ে নিতে চেয়েছিল। উর্দূকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তাদের এই অপপ্রয়াস চক্রান্তের বিরুদ্ধে বাংলা ভাষাভাষীরা গড়ে তুলেন তীব্র আন্দোলন। ’ সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ীসহ পথসভা ও র্যালিতে আরও উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ জলিল, ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মানিক লাল ঘোষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু, মানবাধিকার সংগঠক মঞ্জুর হোসেন ইশা, বাংলাদেশ সোস্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বিএসএএফ) সমন্বয়ক শেখ জনি ইসলাম, রাহাত হুসাইন প্রমুখ।
ওপেন ডায়ালগ বাংলাদেশ: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ঢাকায় ইকোনোমিকস রিপোর্টার’স ফোরাম হলে সেমিনার আয়োজন করে ওপেন ডায়ালগ বাংলাদেশ। সভায় ১৫০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা অংশ নেন। ‘৫২’র ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা’ শীর্ষক ওই সেমিনারে তারা বাঙালির মাতৃভাষাকে ছিনিয়ে নিতে পাকিস্তানের অপচেষ্টার কথা স্মরণ করে পাকিস্তানের প্রতি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতি সংস্থা (বিবিএসএস): আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতি সংস্থা (বিবিএসএস) বাইসাইকেল র্যালির আয়োজন করে। এতে অংশ নেয় ১৩৫ জন স্বেচ্ছাসেবী। সকালে রাজধানীর গুলশানের নিকুন্জ (পুলিশপ্লাজা) থেকে গুলশান ২ ও পাকিস্তান হাইকমিশন হয়ে এই কর্মসূচি পুলিশ প্লাজায় এসে শেষ করা হয়। র্যালি শেষে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তারা বলেন, পাকিস্তান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে মায়ের ভাষার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে স্বৈরাচারী আচরণ শুরু করে। এর বিরুদ্ধে এদেশে ব্যাপক গণবিক্ষোভ শুরু হলে তারা বল প্রয়োগের রাস্তা বেছে নেয়। বাঙ্গালীর আন্দোলন আরো বেগবান হলে ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাস্তায় প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ শুরু করে। আর এতে সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার ও সফিউলরা শহিদ হন। আহত হন অসংখ্য নিরিহ মানুষ। কিন্তু তারপরও দমাতে পারেনি বাঙ্গালীর সেই আন্দোলনকে। বাঙ্গালী বিজয়ী হয়। রাষ্ট্রভাষা বাংলা স্বীকৃতি পায়। আজ আমাদের সেইদিনটি আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
নিউজ ডেস্ক