ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পায়রায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১ হাজার ৩৫০টি ঘর নির্মাণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
পায়রায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১ হাজার ৩৫০টি ঘর নির্মাণ পায়রায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১ হাজার ৩৫০টি ঘর নির্মাণ

ঢাকা: পায়রা বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো/সুবিধাদির উন্নয়ন (২য় সংশোধিত) প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৬৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। এই কাজের আওতায় ১ হাজার ৩৫০টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

 

পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ এবং পায়রা বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার (২য় সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্প দু’টির চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।  

আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন এবং মতবিনিময় সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে। পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুয়ায়ী ২০ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সরেজমিন মনিটরিং করে আইএমইডি। এই সময়ে আইএমইডি সচিবের  সঙ্গে একান্ত সচিব মোহাম্মদ রফিকুল হক ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা  ফয়সাল কবীর উপস্থিত ছিলেন।


আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী  বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করার লক্ষ্যে নির্মিত ১ হাজার ৩৫০টি বসতঘরের মধ্যে কয়েকটি ভিজিট করি। বসতঘরগুলো দুই ধরনের। একটির রুম সংখ্যা ০৪টি। মোট আয়তন ৯৭৮ বর্গফুট এবং অপরটির রুম সংখ্যাও ০৪টি আয়তন ৮৮৫ বর্গফুট। বসতঘর যে স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে আরও বেশি করে বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যা করা প্রয়োজন। পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে পুনর্বাসন কার্যক্রম সম্পর্কে বলেছি। তারা এ প্রকল্পের কার্যক্রমে খুবই খুশি হয়েছেন বলে জানান। প্রকল্পের সার্বিক আর্থিক অগ্রগতি ৬১ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং বাস্তব অগ্রগতি ৭২ দশমিক ১২ শতাংশ। প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ে শেষ করার ব্যাপারে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ আশাবাদী। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে।

পায়রা বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো/সুবিধাদির উন্নয়ন (২য় সংশোধিত) প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ২০২২ সাল নাগাদ। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৪ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ৬ হাজার একর ভূমি অধিগ্রহণ ও সাড়ে ৩ হাজার ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে। প্রকল্পের সার্বিক আর্থিক অগ্রগতি ৬১ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং বাস্তব অগ্রগতি ৭২ দশমিক ১২ শতাংশ।


বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
এমআইএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।