ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষার অস্তিত্ব রক্ষায় কোনো আপস করেননি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষার অস্তিত্ব রক্ষায় কোনো আপস করেননি

ঢাকা: বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও ভাষাসৈনিক আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন, বাংলা ভাষাকে নিয়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী অপপ্রচার করেছে, নানা ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষার অস্তিত্বের ক্ষেত্রে কোনোদিন আপস করেননি।

শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিল্টন হলে ‘বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিএসএমএমইউয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির উদ্যোগে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়ে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা.কনক কান্তি বড়ুয়া।

আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা করার পরিকল্পনা বঙ্গবন্ধু করেছিলেন। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনই বাংলাদেশের সব স্বাধিকার আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার ও পথপ্রদর্শক।

তিনি বলেন, বাংলা ভাষায় নিহিত রয়েছে অসম্প্রাদায়িকতা ও লড়াকু চেতনা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও একুশের চেতনাকে ধারণ করেই সব সঙ্কট কাটিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একদিন উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ যতবেশি সুপ্রতিষ্ঠিত হবে বাংলা ভাষাও ততবেশি সমৃদ্ধ হবে।

বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, ভাষা আন্দোলনের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর রয়েছে অসামান্য অবদান। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একটি অবিচ্ছেদ্য নাম। যতদিন বাংলাদেশ আছে ততদিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাঙারির হৃদয় থেকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না।

তিনি বলেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও ভাষাসৈনিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর রচিত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি সমগ্র ফেব্রুয়ারিজুড়েই সব বাঙালির হৃদয় ও কণ্ঠে অনুরণিত হয়। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের পাতায় ‘আবদুল গাফফার চৌধুরী’ নামটিও স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন-প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
পিএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।