পঞ্চগড়: একটি মামলায় জামিন না পেয়ে আদালত চত্বরেই বাদী পক্ষের তিন নারী ও একটি শিশুকে মারধর করেছেন আসামি পক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় রুবিনা খাতুন (৩৩) নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পঞ্চগড় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-পঞ্চগড় সদর উপজেলার টুনিরহাট বানিয়াপাড়ার মকছেদুর রহমানের স্ত্রী আজিমা খাতুন (২৮), তার প্রতিবন্ধী মেয়ে মারিয়া শেখ (৫), আজিমার মা সকিনা বেগম (৫০) এবং খালা আরজিনা বেগম (৪৫)।
আহত নারী ও আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বাড়ির গাছের ডালপালা কাটাকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড় সদর উপজেলার টুনিরহাট বানিয়াপাড়া এলাকার মকছেদ রহমান ও প্রতিবেশী আজিরত ইসলামের পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় মকছেদুরের পরিবারের বেশ কয়েকজন আহত হন। ১০ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) মকছেদুর বাদী হয়ে আজিরতসহ আটজনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতে আত্মসমর্পণ করে আসামিরা জামিন আবেদন করলে আদালত আজিরত ও রয়েল নামে দুই আসামির জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে বাকি আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেন। যারা জামিন পাননি, তাদের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে আসামি পক্ষের লোকজনকে পিটিয়ে আহত করেন।
এ সময় আসামি পক্ষের আনোয়ার হোসেন, তার স্ত্রী শ্রুতি বেগম এবং তার বোন রুবিনা খাতুন বিরোধী পক্ষের তিন নারী ও এক শিশুকে মারধর করেন। একপর্যায়ে আহত হয়ে তারা আদালত চত্বরে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। বেশ কিছু সময় পর আদালতে নিয়োজিত পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সময় পুলিশ আসামি পক্ষের রুবিনা খাতুনকে (৩৩) আটক করলেও বাকিরা পালিয়ে যান।
আহত আজিমা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, মামলার শুনানি থাকায় আমরা আদালতে উপস্থিত ছিলাম। আদালত প্রধান দুই আসামির জামিন নামঞ্জুর করার পর যখন আমরা আদালত থেকে বের হচ্ছিলাম, তখন তাদের পক্ষের আনোয়ার, তার স্ত্রী শ্রুতি ও তার বোন রুবিনা আমাদের টেনে হিঁচরে আদালত চত্বরে নিয়ে সবার সামনেই মারধর করেন। এমনকি আমার প্রতিবন্ধী মেয়েটিকেও ছাড়েননি তারা। আমরা চিৎকার করছিলাম, কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
পঞ্চগড় আদালতের পরিদর্শক মকবুল হোসেন জানান, পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। একই সঙ্গে এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আক্কাছ আহম্মদ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১
এসআই