ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ডিএনসিসির মশা নিধন অভিযানে জরিমানা প্রায় ১ লাখ

স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১
ডিএনসিসির মশা নিধন অভিযানে জরিমানা প্রায় ১ লাখ

ঢাকা: মশা নিধনে টানা তৃতীয় দিনের মতো বিশেষ অভিযান অব্যাহত রেখেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। মোট ছয় হাজার ৯৯৮টি সড়ক, নর্দমা, জলাশয়, স্থাপনা পরিদর্শন করে মশার লার্ভা ও বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়ায় ৯১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএনসিসির নয়টি অঞ্চলে একযোগে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ৪৩টি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং পাঁচ হাজার ৪১টিতে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।

মশার লার্ভা ও বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়ায় ১৫টি মামলায় মোট ৯১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ডিএনসিসির উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) ৯৪৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়নি। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৭১৫টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।

মিরপুর-২ অঞ্চলে (অঞ্চল-২) ৯১টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৮টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ২৮টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম শফিউল আজমের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কর্তৃক এ অঞ্চলে ৩টি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) দুই হাজার ৪১টি স্থাপনা পরিদর্শন করে একটিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় এক হাজার ৫১১টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কর্তৃক এ অঞ্চলে চারটি মামলায় আট হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) ২০৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৬৮টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।

কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) ১৩৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৬৫টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।

হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) ১ হাজার ৩২৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১ হাজার ৫৬টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।

দক্ষিণ খান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) ৮৯১টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৬৬২টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।

উত্তর খান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) ৮৬৮টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১০টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৪৯০টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা পাওয়ায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কর্তৃক এ অঞ্চলে ৬টি মামলায় ৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) ৪৩৫টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টিতে মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৪২৮টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। মশার লার্ভা পাওয়ায় সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট কর্তৃক এ অঞ্চলে ২টি মামলায় ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) ৬২টি স্থাপনা পরিদর্শন করে কোথাও মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ১৮টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।

শুক্রবার ব্যতীত আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন এ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১
এসএইচএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।