ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘সরকারের মূল লক্ষ্য উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলা’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
‘সরকারের মূল লক্ষ্য উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলা’

নাটোর: নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেছেন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে পেছনে ফেলে রেখে দেশের সুষম ও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ দেশের অন্যান্য অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে তাদের দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে।

সেই লক্ষ্য নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের মূল লক্ষ্য উন্নত, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা।

মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাটোর সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে প্রাণিসম্পদ বিভাগ প্রদত্ত উপকারভোগী ৫২ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে উন্নত জাতের বকনা গরু, খাদ্য ও ছাউনি নির্মাণ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মোস্তফা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শরিফুল ইসলাম রমজান, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক শামসুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক দিলীপ কুমার দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন আনু, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের প্রতিনিধি প্রদীপ লাকড়া প্রমুখ।

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেলিম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক ও জীবন মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৫২ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রত্যেককে একটি করে উন্নত জাতের শংকর বকনাসহ ১২৫ কেজি দানাদার খাদ্য হস্তান্তর ছাড়াও ঢেউটিন, পিলার ও ইট সহযোগে সাত হাজার টাকা মূল্যমানের বকনা পালনের ছাউনি নির্মাণ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে হস্তান্তরকৃত বকনা পালনে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা বিনামূল্যে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে দেওয়া হবে।  

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে বলেন, সদর উপজেলার ৫২ জনসহ জেলার অন্য উপজেলায় পর্যায়ক্রমে দানাদার খাদ্যসহ বকনা হস্তান্তর ও ছাউনি নির্মাণ করে দেওয়া হবে। জেলার মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ১৪০ জন।

তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী শিকার না করে বিকল্প কর্মসংস্থানের মাধ্যমে জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ৫২ জন আদিবাসী পরিবারকে উন্নত জাতের গাভী দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা গাভী লালন-পালন করে ভালোভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।

পরে সংসদ সদস্য শিমুল প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে পাওয়া সাত লাখ ২০ হাজার টাকার অনুদানের চেক ১৭ জন অসুস্থ ও দুস্থ মানুষের হাতে তুলে দেন। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের সৌজন্যে শিশুসহ ১৫ প্রতিবন্ধীকে একটি করে হুইল চেয়ার দেন সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল।   

বাংলাদেশ সময়: ০৫১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।