ঢাকা: পিলখানা হত্যাযজ্ঞ পরাজিত শক্তির ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের নির্মম শিকার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া মিলনায়তনে ‘সমৃদ্ধ জামালপুর এবং মির্জা আজম’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ডা. মুরাদ হাসান বলেন, আমি আজকের দিনে স্মরণ করছি সেই পিলখানা ট্রাজেডি, সেই বিডিআর বিদ্রোহ। পরাজিত শক্তি, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর রাজাকার যারা ছিল, যারা এই বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি হিসেবে রাজনীতি করে তাদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের নির্মম শিকার আজকের বিজিবি, তৎকালীন বিডিআর বাহিনীর মেধাবী ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেদিন বাংলাদেশ ও ঢাকায় যে আতঙ্ক এবং ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, সেদিন মনে হয়েছিল সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি ক্যু হতে যাচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সাবেক যুবলীগের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ভাই এবং আমাদের নেতা মির্জা আজম মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে বিডিআর হেডকোয়ার্টারে সাদা পতাকা হাতে প্রবেশ করেছিলেন। তারা সেদিন বিভিন্ন ধরনের জীবনের হুমকি উপেক্ষা করে পিলখানায় প্রবেশ করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বিডিআর বিদ্রোহ দমনে জাহাঙ্গীর কবির নানক ভাই এবং আজম ভাই যে ভূমিকা রেখেছিলেন তা আমি আজকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। সেদিনের ভূমিকা গ্রহণের মতো সৎ সাহস, মনোবল যোগ্যতা আমাদের খুব কম সংখ্যক নেতার ছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যার কতটা আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন সম্ভব হলে এমন একটি ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নেওয়ার মতো এবং প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়ার মতো মানসিকতা থাকে—পরিস্থিতি এটাই প্রমাণ করে।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ শামসুদ্দিন আহমেদ, স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের একান্ত সচিব নাসির উদ্দিন, জামালপুর সমিতির মহাসচিব গ্রুপ ক্যাপ্টেন শফিক আহমেদ, মাদারগঞ্জ সমিতির মহাসচিব অ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী বাবুল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
আরকেআর/এমজেএফ