সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় গরুর ক্ষুরা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যু ঘটেছে অন্তত ১৬টি গরুর।
নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ভ্যাকসিন সংরক্ষণ না করায় তা কোনো কাজে আসছে না বলে অভিযোগ খামারিদের।
যদিও জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর বলছে, ভ্যাকসিন নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। সমস্যা ভ্যাকসিন প্রয়োগের সময়কাল ও নিয়ম নিয়ে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ঘোষপাড়ার খামারি নিরঞ্জন ঘোষ ছোট্টু জানান, তার খামারে উন্নত জাতের গাভী-বাছুরসহ ১৫টি গরু ছিল। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে খামারে ক্ষুরা রোগের সংক্রমণ হয়। এতে একে একে এ পর্যন্ত পাঁচটি গরু মারা গেছে।
ঠিক একইভাবে নিরঞ্জন ঘোষ ছোট্টুর প্রতিবেশী বাবু রাম বিশ্বাসের পাঁচটি গরুর মধ্যে ক্ষুরা রোগে একটি, নিতাই ঘোষের সাতটি গরুর মধ্যে দুইটি, গৌর ঘোষের ৮টি গরুর মধ্যে ২টি ও ফারুক মোল্লার ৮০টি গরুর মধ্যে ছয়টি গরু মারা গেছে। এছাড়া রাম বিশ্বাসের চারটি গরু ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
খামারিরা জানান, মারা যাওয়া উন্নত জাতের প্রতিটি গাভীর মূল্য দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন দিয়েও কোনো কাজে আসেনি। হাজারো খামারি সর্বশান্ত হচ্ছে। অনেক খামারি শুরুতেই শেষ হয়ে গেল।
তারা অভিযোগ করেন, সরকারি ভ্যাকসিন সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ না করার কারণে ভ্যাকসিন সঠিকভাবে কাজ করেনি।
খামারিরা আরও বলেন, প্রণোদনা দিয়ে কী হবে, যদি গরুই না বাঁচে।
এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম বলেন, ভ্যাকসিন নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। তবে, ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় নিয়ে খামারিদের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। তারা মনে করে একবার ভ্যাকসিন দিলে হয়ে যায়। ক্ষুরা রোগের ভ্যাকসিন একবার দিলে ছয় মাস কাজ করে। এ ভ্যাকসিন ছয়মাসের মধ্যে আবার দিতে হয়। তাহলে বুস্ট ডোজ হিসেবে কাজ করে। কিন্তু ছয় মাস পার হয়ে গেলে এর কার্যকারিতা কমে যায়।
তিনি বলেন, আমাদের দপ্তরে জানালে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেই। কিন্তু কেউ কিছু জানায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
এসআই