ঢাকা: ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায় সংঘটিত বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে শহীদ সদস্যদের ১২তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে নানা কর্মসূচী পালনের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধাভরে শহীদদের স্মরণ করা হয়।
সকালে রাজধানীর বনানীস্থ সামরিক কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে পিলখানায় শহীদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।
শহীদদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার এডমিরাল এম আবু আশরাফ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম প্রমুখ।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ শহীদ সেনাসদস্যদের সম্মানে স্যালুট দেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
বিকেলে বনানীর সামরিক কবরস্থানে নিহতদের কবরে ফুল দিয়ে পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
এছাড়া, নিহতদের স্বজনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বনানী কবরস্থানে শহীদদের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
২০০৯ সালের এদিনে তৎকালীন বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তর পিলখানায় সংঘটিত হয় বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড। নির্দয় জওয়ানদের গুলিতে প্রাণ যায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তার। ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি দুইদিনব্যাপী চলা এ বিদ্রোহে মোট প্রাণ হারান ৭৪ জন।
বহুল আলোচিত এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় (পিলখানা হত্যা মামলা) ১৩৯ জনকে ফাঁসি, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন ও ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা হিসেবে পরিচিত এটি। দীর্ঘ বিচার ও রায় শেষে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পিলখানা হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
পিএম/জেআইএম