ঢাকা: মেঘনা নদীর ওপর আরও একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এটি চালু হওয়ার পর রাজধানীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর দূরত্ব কমে আসবে।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে নির্মিত হতে যাওয়া এ সেতুটি হবে ১ দশমিক ৬৮ কিলোমিটারের। তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে গর্ভমেন্ট টু গর্ভমেন্ট (জিটুজি) পদ্ধতিতে। এ প্রকল্পের বাণিজ্যিক সমীক্ষা প্রতিবেদনের কাজ করবে কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে সেতু বিভাগের সচিব বেলায়েত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে সেতুটি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুর এবং নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়বে। শুধু তাই নয়, ভারতের আগরতলার সঙ্গেও দূরত্ব কমবে।
তিনি বলেন, এ সেতুটি নির্মিত হলে ওই এলাকায় নতুন নতুন শিল্প কারখানা তৈরি হবে। ফলে কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে।
সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ভুলতা-আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর সড়কে ফেরিঘাটের ১০০ মিটার উজানে নির্মিত হবে তৃতীয় মেঘনা সেতু। এর সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় সাত হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা। এ সেতু দিয়ে দৈনিক ১৯ হাজার ৩৯৪টি গাড়ি চলাচল করবে বলে সমীক্ষার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
চার লেনের এ সেতুটি দৃষ্টিনন্দন ‘স্টিল-কংক্রিট কম্পোজিট বক্স গার্ডার কেবল স্টেড ব্রিজ’ হবে। এর মূল স্প্যান ৬৫০ মিটার এবং অন্যান্য স্প্যান ১১০ মিটার; নৌযান চলাচলের জন্য ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স ১৮ দশমিক ৩০ মিটার ধরা হয়েছে।
সেতুটি নির্মাণের জন্য ২৪৭ দশমিক ২৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। ওই জমির মূল্য বহন করবে সেতু বিভাগ।
জানা গেছে, পিপিপির আওতায় জিটুজি ভিত্তিতে বাস্তবায়নে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান দাইয়ু ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন সেতুটি নির্মাণের প্রস্তাব দেয়। এরপর কোরিয়ার সরকার তিনটি প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করে দিয়েছে৷ প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো- কোরিয়ান দাইয়ু, হুন্দাই ও কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন। এতে করে প্রকল্প বাস্তবায়নে দরপত্র আহ্বানের প্রয়োজন হবে না৷
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১
ডিএন/জেআইএম