গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় আতিকা সুলতানা (১৬) নামে এক কলেজছাত্রীকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় ছেলে তানজিল আহম্মেদ (২১) ও স্ত্রী হামিদা বেগমকে (৩৮) আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা আমিনুল ইসলাম।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অভিযুক্ত মা হামিদা বেগমকে আদালতের মাধ্যমে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
সুলতানা ওই গ্রামের ক্বারী আমিনুল ইসলামে মেয়ে। তিনি স্থানীয় উদয়ন ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, মামলার প্রধান অভিযুক্ত নিহতের ভাই পলাতক তানজিল আহম্মেদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
নিহতের বাবা ফুলছড়ি জামে মসজিদের ইমাম ক্বারী আমিনুল ইসলাম এজাহারে উল্লেখ করেন, একই গ্রামের উজ্জলের ছেলে রাসেলের সঙ্গে মেয়ে সুলতানার ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে পারিবারিকভাবে বিয়ের দিন নির্ধারণের জন্য শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাসেলের বাবা ও বিয়াই আবুল আমাদের বাড়িতে আসেন। আলোচনা শেষে নামাজ পড়াতে আমি ফুলছড়ি মসজিদে যাই।
আমার অবর্তমানে মেয়ের প্রেম ভালোবাসা বিষয় নিয়ে ভাই-মায়ের সঙ্গে সুলতানার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আতিকা সুলতানা তার বড় ভাই তানজিলের গালে থাপ্পড় মারে। এসময় তানজিল উত্তেজিত হয়ে পাশে রুমে থাকা গরু জবাই করা ধারালো ছুরি নিয়ে এসে মায়ের সহযোগিতায় আতিকা সুলতানার মুখে-গালে ও গলার নিচে শ্বাসনালীসহ আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে হত্যা করে।
মামলার তদন্ত অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নয়ন কুমার বাংলানিউজকে জানান, আতিকা সুলতানার প্রেম-বিয়ের বিষয়টি তানজিল ও তার মা মেনে নিতে পারেনি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে এ খুনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নিহতের মা হামিদা বেগমকে গ্রেফতার করে শনিবার দুপুরে আদালতে নেওয়া বলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে বিকেলে তাকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১
এনটি