ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আল-জাজিরার প্রতিবেদন: সত্য-মিথ্যা জনগণ বিচার করবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১
আল-জাজিরার প্রতিবেদন: সত্য-মিথ্যা জনগণ বিচার করবে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশ জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পাশে রয়েছেন ছোট বোন শেখ রেহানা | ছবি: ফোকাস বাংলা

ঢাকা: আল-জাজিরার প্রতিবেদন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার কোনো প্রতিক্রিয়া নাই, আমার কোনকিছু বলারও নাই। দেশের মানুষই বিচার করে দেখবে যে, এটা কতটুকু সত্য, কতটুকু মিথ্যা।

স্বল্পোন্নত দেশ হতে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে (ভার্চুয়ালি) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন শেখ হাসিনা।

‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শীর্ষক আল-জাজিরার প্রতিবেদন বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার কোনো প্রতিক্রিয়াও নাই, আমার কোনকিছু বলারও নাই। কারণ একটা চ্যানেল কী বলছে না বলছে, কী করছে না করছে সেটা দেশবাসী বিচার করে দেখবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষই বিচার করে দেখবে যে, এটা কতটুকু সত্য, কতটুকু মিথ্যা, কতটুকু বানোয়াট। আর কী উদ্দেশ্যে তারা করছে। সেটাও বড় কথা।

শেখ হাসিনা বলেন, কোন চ্যানেল কী বললো না বললো—ওটা শুনে তো আর কারও রাজনীতি না। দেশের মানুষের জন্য কতটুকু করলাম সেটাই বড় আমার রাজনীতি। যারা করতেছে করতে থাকুক, বলতে থাকুক, বলাটাই তো তাদের কাজ। আর জনগণের কাজ করা এটা আমাদের কাজ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি চিন্তার কিছু নেই। দেশবাসীকে বলবো—চিন্তার কিছু নেই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। এগুলো মোকাবিলা করে এগিয়ে যাওয়ার সে সক্ষমতা আমাদের আছে, জনগণের আছে। কাজেই এত দুঃশ্চিন্তা করার কিছু নেই।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যারা চায়নি, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, যারা গ্রেনেড হামলা করে আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। যারা এই দেশটাকে অস্ত্র চোরাকারবারি, ড্রাগ চোরাকারবারি, দুর্নীতির একটা আখড়ায় পরিণত করে নিজেদের ভাগ্য গড়তে ব্যস্ত ছিল তারা বাংলাদেশের উন্নতিটা মানবে কীভাবে?

তিনি বলেন, তাদের তো চেষ্টাই থাকবে কীভাবে বাংলাদেশের বদনাম করতে, বাংলাদেশের দুর্নাম করতে—সেটাই আমরা দেখতে পাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, যুদ্ধাপরাধী, দুর্নীতি-লুটপাটে যারা জড়িত তাদের বিচার হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত, তাদের দোসর, তাদের পরিবার—তারা কি চুপ করে বসে থাকবে নাকি? আমরা দেখি তাদেরও কিছু ইন্ধন আছে। সেই সাথে তো বাংলাদেশের রাজনীতির একটা মিথস্ক্রিয়া দেখা যায় যে, আলট্রা লেফট-আলট্রা রাইট সময় সময় এক হয়ে যায়। আমাদের অপরাধটা কী সেটাই তো আমার বড় প্রশ্ন।

তিনি বলেন, সরকার হিসেবে আমরা দেশের জন্য যেভাবে কাজ করেছি, এগিয়ে নিয়ে গেছি ১২ বছরের মধ্যে। আপনারা একবার চিন্তা করে দেখুন—২০০৮ সালে কী অবস্থা ছিল, ২০০৭ সালে কী অবস্থা ছিল বা ২০০১ সালের থেকে সেই নির্বাচনের সময় থেকে ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে পর্যন্ত বাংলাদেশে কী পরিস্থিতি ছিল, একবার স্মরণ করেন। আপনারা সাংবাদিকরা স্মরণ করেন। দক্ষিণাঞ্চলে তো সাংবাদিকরাই যেতে পারতো না।

গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১
এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।